ছবি: রয়টার্স
আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর পুরো পরিস্থিতির দায় আমেরিকার ঘাড়ে চাপাল চিন। চিনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানকে ‘লন্ডভন্ড’ করে দেশে ফিরে গিয়েছে আমেরিকার সেনা। ন্যাটো ও আমেরিকার সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের ফলে তালিবান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরিষ্কার রাস্তা পেয়েছে। সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, আফগান সৈন্যদের এতদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও অস্ত্রভাণ্ডারে সুসজ্জিত করার পরেও তলিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তোলা যায়নি। সারাজীবন আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনা থাকতে পারে না। এ বার থেকে লড়াই আফগান সেনাকেই লড়তে হবে।
এই কথার সূ্ত্র ধরেই আমেরিকাকে এক হাত নিয়েছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘আমেরিকা আফগানিস্তানকে লন্ডভন্ড অবস্থায় ফেলে চলে গিয়েছে। এখন সে দেশে চারিদিকে অশান্তি, বিভেদ ও ভঙ্গ পরিবারের দেখা মিলছে। আমেরিকার ভূমিকায় এমন। সবসময় ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় আমেরিকা, গড়তে পারে না।’’
চিনের সঙ্গে আফগানিস্তানের মোট ৭৬ কিলোমিটার জুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সেই কারণেই চিনের চিন্তা, দেশের উইঘুর মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের স্থান হতে পারে ওই সীমান্ত বরাবর ভূমিতে। যদিও গত জুলাই মাসে তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সে ব্যপারে আশ্বাস দিয়েছে তালিবান। জানিয়েছে, চিনের সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপ বিস্তার করতে কোনও গোষ্ঠী আফগান মাটি ব্যবহার করতে পারবে না। সেই বৈঠকের পর পাল্টা আফগানিস্তানের তরফ থেকেও বলা হয়েছে,যদি পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক থাকে,তা হলে বাকি দিকগুলি বজায় রেখে চলবে বেজিং। যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগে ছিল, নতুন তালিবান সরকারের ক্ষেত্রেও সেটি বজায় রাখা হবে। নতুন করে আফগানিস্তান গড়তে আর্থিক সাহায্য করবে চিন।