প্রতীকী ছবি।
রবিবার শেষ হয়েছিল তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চিনের চারদিনের সামরিক মহড়া। সোমবার তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আবার সামরিক মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করল চিন। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের মহড়ায় সাবমেরিন প্রতিরোধ এবং সমুদ্রপথে শত্রুপক্ষের আক্রমণ মোকাবিলায় সর্বাধিক জোর দেওয়া হচ্ছে।
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ড চিনের নিজস্ব নেটমাধ্যম ওয়েইবো-তে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, সাবমেরিন-হানা প্রতিরোধ করার জন্য এবং সমুদ্র-সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্যই এই সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্বশাসিত তাইওয়ানকে চিন নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। অপর দিকে আমেরিকা তাইওয়ান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও সেই অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে থাকে। তাইওয়ানে পেলোসির সফরের দিনই সামরিক অভিযান শুরু করেছিল চিন। চিনের এই পদক্ষেপে তাইওয়ানকে সাবধান করার বার্তাই দেখেছিল আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।
রবিবার সকালেই অবশ্য বেজিংয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়, চিন এবং কোরিয়া উপদ্বীপের মাঝে সমুদ্র বরাবর সামরিক মহড়া শুরু করছে করছে তারা। চিনা নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ৮ অগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোহাই সাগরে সামরিক অভিযান চালাবে তারা। আগের সামরিক অভিযানে তাইওয়ান দ্বীপের উপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বেজিং। সেই সময় তাইওয়ান প্রণালীর উপর দিয়ে চিনের বোমারু বিমানগুলিকে উড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। চিন সরকারের মুখপাত্র সম্প্রতি তাইওয়ান, আমেরিকা দুই সরকারকেই সাবধান করে জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে চিন যে কোনও কঠোর ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।