১ এপ্রিলের আগে এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি-সিইও- এর দায়িত্ব নেওয়ার কথা আইচি-র ফাইল চিত্র।
গত মাসেই এয়ার ইন্ডিয়াকে (এআই) নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে টাটা গোষ্ঠী। তার পরে সংস্থার নতুন এমডি-সিইও হিসেবে তুরস্ক এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইলকার আইচি-র নামও ঘোষণা করেছে টাটা সন্স। ১ এপ্রিলের আগে দায়িত্ব নেওয়ার কথা তাঁর। তবে আইচি তুরস্কের নাগরিক। সেই কারণেই তাঁর অতীত সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেবে কেন্দ্র। রবিবার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন নিযুক্ত এমডি-সিইওর অতীত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিশদে এবং সতর্ক ভাবে খতিয়ে দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সরকারি আধিকারিকেরা জানান, বিষয়টি দেশের নিরাপত্তা রক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে। কোনও ভারতীয় সংস্থার শীর্ষ পদে বিদেশি নাগরিক নিযুক্ত হলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁর অতীতের খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করে নেয়। যাতে সিদ্ধান্তটি দেশের সুরক্ষার নিরিখে ভুল না-হয়। আইচি ক্ষেত্রেও তা করা হবে। তথ্য জোগাড় করতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সহায়তা নেওয়া হবে।
১৯৭১ সালে ইস্তানবুলে জন্ম আইচি-র। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত সেখানকার তৎকালীন মেয়র, বর্তমানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইপ এরোদুয়ং-এর উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৫ থেকে এ বছর পর্যন্ত ছিলেন তুরস্ক এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান। বলা হয়, বিমান সংস্থাটিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পুরো কৃতিত্ব তাঁর। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, হয়তো এই জন্যই গলা পর্যন্ত ধার এবং লোকসানে ডুবে থাকা এআইয়ের ভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এখনও পর্যন্ত সংযুক্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স-সহ এয়ার ইন্ডিয়ায় মোট ৬১ জন ব্যক্তি শীর্ষ পদে এসেছেন। আইচি-ই এই দায়িত্বে প্রথম বিদেশি। সূত্রের খবর, আইচি সম্পর্কে টাটা কিংবা বিমান মন্ত্রক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানালেই নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র দেওয়ার এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ দিকে, ভারত সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কানাডার আদালতের যে নির্দেশে ডেভাস মাল্টিমিডিয়ার বিদেশি লগ্নিকারীদের এয়ার ইন্ডিয়ার তহবিল বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করার আবেদনে সায় দিয়েছে সেখানকার কুবেক-এর আপিল আদালত। মোট ১৩০ কোটি ডলার (প্রায় ৯৬০০ কোটি টাকা) উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দেশের আদালতে মামলা করেছে বেঙ্গালুরুর টেলি যোগাযোগ সংস্থা ডেভাসের শেয়ারহোল্ডারেরা। ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যানট্রিক্সের সঙ্গে একটি চুক্তি খারিজের পরে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইনি পদক্ষেপ করেছিল তারা। আদালতের মতে, ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য এআইকে ভারত সরকারের বিকল্প চিহ্নিত করা যায় কি না, তা বিশদে খতিয়ে
দেখা উচিত।