— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজো এসেছে, কিন্তু চারপাশে যেন বিচারের অপেক্ষায় ক্লান্ত মানুষ বিমর্ষতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। সামাজিক অনুষ্ঠানে পরস্পরকে একই প্রশ্ন করছে, ‘দেশের আত্মীয়স্বজন কী বলছে? মেয়েটা বিচার পাবে তো?’
সচরাচর প্রবাসে পুজো গৌরবে বহুবচন। এক সপ্তাহান্তে সিঁদুর খেলে মন খারাপ হল মা চলে গেলেন বলে। পরের সপ্তাহে আবার সাজগোজ মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে। বিতর্কটুকু বাদ দিলে, আনন্দটুকুই যথার্থ অফুরান। কিন্তু এ বছর বিষাদের প্রেক্ষাপটে আটলান্টার সব ক’টি সংস্থা পুজোর আয়োজন, নির্যাতিতাকে বাদ দিয়ে ভাবতেই পারছেন না। এ বছর তাঁদের সকলের দেবী-আবাহন নিহত চিকিৎসককে সঙ্গে করেই।
আটলান্টায় ও তার চারপাশে যে ক’টি পুজো হয়, যেমন ‘বেঙ্গল এসোসিয়েশন অব গ্রেটার আটলান্টা’, ‘পুজারী’, ‘পূর্বাশা’, ‘জর্জিয়া বেঙ্গলী ফোরাম’, ‘হিন্দু এসোসিয়েশন অব জর্জিয়া’, ‘আটলান্টা বেঙ্গলী ফোরাম’, ‘নন্দন’, ‘বাংলাদেশ পুজা এসোসিয়েশন’, ‘পুজা পরিষদ’, ‘পুষ্পাঞ্জলি’ ও ‘সনাতন মন্দির’—প্রতিটি পুজোতেই বিচারের দাবি তুলে ব্যানার-ছবি-পোস্টার রাখা হয়েছে। অনেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়ে আসছেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের ছোঁয়া। এই আয়োজনের মাধ্যমেই আটলান্টার মাটিতে এ বার এক নব আঙ্গিকের জীবনমুখী দুর্গাপুজো।