ট্রাম্পের নিশানায় ট্রুডো। ছবি: এএফপি।
সংঘাত বলা যাবে না। তার চেয়ে বরং জি ৭-এর বৈঠক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে যে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে বোধহয় ঝগড়া বলাই ভাল। দুই রাষ্ট্রনেতার চাপানউতোরের জেরে জি-৭ শীর্ষসম্মেলনের যৌথ বিবৃতি থেকে পর্যন্ত নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ট্রুডো হলেন ‘‘ভীষণ দুর্বল এবং অসত্।’’ পাল্টা এসেছে ট্রুডোর তরফ থেকেও। নাম না করে ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘কানাডার মানুষ ভদ্র ঠিকই, কিন্তু তা বলে ধাক্কা খেতে আমরা রাজি নই।’’
সংঘাতের আসল কারণ কিন্তু বাণিজ্য নিয়ে মতভেদ। নাম না করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা কিংবা মেক্সিকো থেকে আমদানি করা স্টিল এবং অ্যলুমিনিয়ামের উপর যে ভাবে বাড়তি শুল্ক চাপাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের পাশেই আছে কানাডা।
এ দিকে সিঙ্গাপুরে ১২ জুন কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্প্রের বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি ওয়াশিংটন থেকে শনিবার বিমানে ওঠেন। ট্রাম্পের দাবি, ‘‘তিনি যত ক্ষণ বৈঠকে ছিলেন, তত ক্ষণ গুটিয়ে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো।’’ তাঁর দাবি, মার্কিন বাণিজ্য নীতি নিয়ে অন্যান্য দেশকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এর প্রতিবাদেই সম্মেলেনের বিবৃতি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন। জি ৭-এর গৃহীত সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবে না বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের সেই হ্যান্ডশেক! ট্রাম্পের হাতে আঙুলের ছাপ বসিয়ে দিলেন মাকরঁ
আরও পড়ুন: চাল নেবে চিন, দেবে জল-তথ্য, মোদী-শি বন্ধুত্বের নয়া বার্তা
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এত দিন বানিজ্য নিয়ে মার্কিন ষুক্তরাষ্ট্রের মূল সংঘাতটা ছিল চিনের সঙ্গে। এ বার সেই সংঘাতের পরিসর ছড়াল আরও বড় জায়গায়। যদিও হুঙ্কার দিয়ে ট্রাম্প বলছেন, এক হাজার বার যদি বাণিজ্য যুদ্ধ হয়, তবে এক হাজার বারই জিতবে মার্কিন ষুক্তরাষ্ট্র।