প্রতীকী ছবি।
বছর খানেক আগের কথা। ‘পোকেমন গো’ খেলার নেশায় ঘটনা-দুর্ঘটনার ঘনঘটায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। কানাডায় সেই খেলা যে এখনও অনেকেই চুটিয়ে খেলছেন, সম্প্রতি তার প্রমাণ পেয়েছে কানাডার সেনা ও পুলিশ।
নেশা এমন, যে পোকেমন ধরতে কানাডার সামরিক পুলিশের ঘাঁটিতেই ঢুকে পড়েছেন বেশ কিছু বাসিন্দা। যে সব এলাকা কার্যত নিষিদ্ধ নাগরিকদের জন্য। পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে, তারা আদৌ কোনও বিদেশি এজেন্ট বা জঙ্গি নন। বরং এ দেশেরই সাধারণ ডিজিটাল গেম-পাগল মানুষজন। এর আগে বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে ‘পোকেমন গো’ খেলাটি বাজারে আসার পর পরই কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর তরফে একটি নোটিস জারি করে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল, যাতে তারা সামরিক সম্পত্তি ও এলাকা থেকে দূরে থাকেন। কানাডার ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার সিবিসি সে সময়েই জানিয়েছিল, কানাডার বহু সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক এলাকাকে খেলার স্টপ হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে।
অ্যাপটি বাজারে আসার তিন দিনের মাথায় দুই ব্যক্তি একটি ভ্যান নিয়ে টরন্টোর কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিল, তা-ও আবার মধ্যরাতে। তাঁদের পাকড়াও করে জানা যায়, তাঁরা পোকেমন খেলছিলেন, আর মনস্টার তথা রাক্ষস ধরতেই তাদের এই অভিযান। আর এক বার এক মহিলাকে বর্ডন ঘাঁটিতে পাকড়াও করে পুলিশ। দেখা যায়, তিনি মোবাইল নিয়ে ওই গেমটি খেলছেন। আর তাঁর তিন খুদে সন্তান ট্যাঙ্ক বাইছে। এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে কানাডা পুলিশের হাতে।
সত্যিই খেলা, নাকি এর অতলে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও অভিসন্ধি, তা বুঝতে এ বার তিন সেনা-পুলিশ অফিসারকে ‘পোকেমন গো’ খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা কানাডার সামরিক এলাকা জুড়ে যে ভাবে পোকেমনের জাল ছড়ানো রয়েছে, সেটিই এ বার খতিয়ে দেখতে চলেছেন তাঁরা।