কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো —ফাইল চিত্র।
কানাডায় খলিস্তানপন্থীদের অতি সক্রয়তা নিয়ে গত সপ্তাহেই অটোয়া সরকারকে কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার জবাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, তাঁরা জাতির বিভিন্নতা, প্রত্যেকের বাক্-স্বাধীনতাকে যথেষ্ট সম্মান করেন। কিন্তু সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে কোনও ভাবে আপস করেন না। এই বিষয়টি তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।
তবে ট্রুডোর জবাবে ভারতীয় শিবিরের উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। আজ কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নাম না করলেও তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘বাক্-স্বাধীনতার নামে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের কোনও স্থান নেই। বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’
আগামী শনিবার কানাডায় ‘ফ্রিডম র্যালি’র ডাক দিয়েছে খলিস্তানপন্থীরা। এ নিয়ে তারা সম্প্রতি কিছু পোস্টার প্রকাশ করেছে। সেই পোস্টারে টরন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকদের ছবি দিয়ে তাঁদের নিশানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনারকে তলব করে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল সাউথ ব্লক। তার পরেই কানাডা সরকারকে বিঁধে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘খলিস্তানপন্থীদের বিষয়টি কানাডা সরকার কী ভাবে সামলাচ্ছে তা দেখতে হবে। বহু দিন ধরে এই সমস্যা চলছে। দেখে মনে হচ্ছে, ওরা ভোট-রাজনীতি নিয়েই বেশ ভাবছে। ওদের পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের উপরেও প্রভাব ফেলবে।’’
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রুডো বলেছেন, ‘‘ওঁরা ভুল ভাবছেন। সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসের হুমকির বিষয়ে কানাডা সরকার সব সময়েই কড়া মনোভাব দেখিয়েছে। কঠিন পদক্ষেপ করেছে। ভবিষ্যতেও তেমনই করব।’’ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলিও। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘৮ জুলাইয়ের কর্মসূচির যে সব পোস্টার অনলাইনে প্রচার হচ্ছে, তাতে ভারতীয় কূটনীতিকদের ছবি রয়েছে। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ওই কূটনীতিকদের সঙ্গেযোগাযোগ রাখছি’।