২০১৪ সালে শিকাগো বিমানবন্দরে ফারুক-তাশফিন। ছবি: এএফপি।
মাস ছয়েকের শিশুকন্যাকে মায়ের কাছে রেখে এসেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্দিনোর রেডল্যান্ডসের বাসিন্দা রফিয়া ফারুক এবং তার স্ত্রী তাশফিন মালিক। তার পরই ‘ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টার’ নামে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালায় তারা। গত ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে একটি পার্টি চলাকালীন সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে ঢুকে পড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী ফারুক এবং তার স্ত্রী তাশফিন। তাদের এলোপাথাড়ি গুলি কেড়ে নেয় তরতাজা ১৪টি প্রাণ। পালাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই হামলাকারীর।
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, রীতিমত পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালানো হয়। হামলার আগে ফারুকের হাতে আসে বিপুল অঙ্কের অর্থ। সাড়ে ২৮ হাজার মার্কিন ডলার জমা হয় তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। গত ১৮ নভেম্বর ওয়েবব্যাঙ্ক ডট কমে তার অ্যাকাউন্টে জমা হয় অর্থটি। তদন্তকারীরা দেখছেন অর্থটি ফারুক কোনও ঋণ হিসাবে নিয়েছিল কি না। হিসেবপত্র পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন ২০ নভেম্বর সান বার্নার্দিনোর একটি ব্যাঙ্ক থেকে হাজার দশেক মার্কিন ডলার তোলে ফারুক। শুধু এখানেই শেষ নয়। হামলার আগের দিন ফারুকের মায়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। তিন খেপে পাঁচ হাজার ডলার জমা হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করে বার্ষিক ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার রোজগার করত ফারুক।
হাজার দশেক ডলারের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা খোঁজ পান এনরিকে মার্কেজের।
কে এই এনরিকে মার্কেজ?
হামলায় যে দু’টি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ব্যবহার করা হয় সেই দু’টিই এনরিকের কাছ থেকে পায় ফারুক-তাশফিন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হামলায় ব্যবহৃত প্রতিটি অস্ত্রই আইনমাফিক কেনা হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কেনা হয়েছে অস্ত্রগুলি।
শুধু অর্থ লাভ বা অস্ত্র জোগাড় করেই থেমে থাকেনি ফারুক-তাশফিন। দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র প্রশিক্ষণও নেয় তারা। লস অ্যাঞ্জেলেসের শুটিং রেঞ্জে নিশানা প্র্যাকটিস করত দু’জনে।