ঠিক যেন রাবার জাতীয় কিছু পড়ে রয়েছে। এক ঝলক দেখলে অন্তত তেমনই মনে হবে। যদিও স্পর্শ করলেই সে নড়েচড়ে উঠবে।
ধূসর রঙের ভাঁজ পড়া চামড়ার অদ্ভুতদর্শন এই ‘বস্তু’টি আসলে একটি প্রাণী। নাম সেসিলিয়ান।
সম্প্রতি ফ্লোরিডায় এমনই এক প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাকে ঘিরে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল ফ্লোরিডার বিজ্ঞানীমহলে।
বিশ্বে এই প্রাণীর খোঁজ প্রথম মিলল তা নয়, ফ্লোরিডায় প্রথম এই প্রাণীর দেখা মিলেছে। দক্ষিণ ফ্লোরিডার তামিয়ামি খালে এর খোঁজ মিলেছে।
এই প্রাণীটি মূলত নিরক্ষীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ এদের বাসস্থান। ফ্লোরিডায় আগে কখনও সেসিলিয়ান দেখা যায়নি।
দেখতে সাপের মতো হলেও এরা আসলে উভচর শ্রেণিভুক্ত প্রাণী। পা-হীন উভচর। তাই জীবদ্দশায় উভচর শ্রেণির বৈশিষ্ট্য মেনে জল এবং স্থল সবেতেই জীবনের বিভিন্ন পর্ব কাটিয়ে থাকে।
এদের মুখ এবং লেজ আলাদা করা কঠিন। মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে ফ্লোরিডা ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশন প্রাণীটিকে উদ্ধার করেছে।
প্রথমে কিছুতেই প্রাণীটিকে চিনে উঠতে পারছিল না কমিশন। ডিএনএ-র নমুনা পরীক্ষা করে তবেই প্রাণীটিকে শনাক্ত করেছে ওই কনজারভেশন কমিশন।
এই প্রাণীগুলি একেবারেই বিপজ্জনক নয়। মুখে কয়েক সারি দাঁত রয়েছে বটে তবে সেগুলি শুধুমাত্র শিকার ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়।
কেঁচো, কীট-পতঙ্গ এদের শিকার। দাঁত দিয়ে শিকার ধরে গিলে খেয়ে ফেলে সেগুলিকে। আর সেসিলিয়ানদের প্রধান শত্রু হল সাপ।
মাটির গভীরে থাকে প্রাণীগুলি। চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আয়ু হয়ে থাকে এদের। কখনও কখনও তারও বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে।