ব্রুনেইয়ে সমকামিতার শাস্তি পাথর ছুড়ে মৃত্যু। গ্রাফিক্স শৌভিক দেবনাথ।
দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট দেশ ব্রুনেই। সেখানে জনসংখ্যা সাড়ে চার লক্ষের মতো। সে দেশের অধিকাংশ বাসিন্দা মুসলিম ধর্মাবলম্বী। সে দেশে আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হবে নতুন একটি আইন। সেই আইন অনুযায়ী, ব্রুনেইয়ে যদি দু’জন পুরুষ সমকামী সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে পাথর ছুড়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। পাথর ছোড়ার এই শাস্তি দাঁড়িয়ে দেখবে সে দেশের একদল মুসলিম। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই দণ্ড কার্যকর হবে।
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রুনেইয়ে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এই আইন কার্যকর হবে। সমকামিতা ও বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক রোধ করতেই এই আইন কার্যকর করা হবে। এই দেশেই ডাকাতির শাস্তি হিসেবে অঙ্গচ্ছেদের বিধান দেওয়া হয়ে থাকে।
এই আইনটি প্রণয়নের কথা ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। ২০১৮-র ২৯ ডিসেম্বর ওই আইনের সঙ্গে শাস্তির কথা ব্রুনেই অ্যাটর্নি জেনারেলের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
ব্রুনেইয়ে চালু হতে চলা এই দণ্ডবিধিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বর্ণনা করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দণ্ডবিধি বাতিল করার জন্য ব্রুনেইয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝোড়ো হাওয়ায় ছাতা সমেত উড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘ব্রুনেইকে অবশ্যই এ সব অমানবিক শাস্তির বিধান কার্যকর করা বন্ধ করতে হবে। তাদের দণ্ডবিধিকে মানবাধিকারের শর্ত মেনেই চলতে হবে। ব্রুনেই যাতে এসব পাশবিক দণ্ডবিধির বাস্তবায়ন করতে না পারে সে জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা জানানো জরুরি।’’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, যে কোনও পরিস্থিতিতে পাথর ছোড়া, অঙ্গচ্ছেদ, বেত্রাঘাত ও আইনি সংস্থার হেফাজতে নির্যাতনসহ সব ধরনের শারীরিক শাস্তি বহুদিন আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানে আলু বিক্রি করছে কুকুর!