বরিস জনসন। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ডে ফের ১ মাস ধরে লকডাউন। শনিবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশজুড়ে করোনাআক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরেই আবার লকডাউনের পথে হাঁটল ব্রিটিশ সরকার। ২ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দফায় কার্যকর হবে লকডাউনের মেয়াদ।
ইউরোপের মধ্যে ইংল্যান্ডই অতিমারিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দৈনিক ২০ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা পৌঁছতে পারে ৮০ হাজার অবধিও। প্রধানমন্ত্রী জনসন জানান, সংক্রমণ রোধের ক্ষেত্রে এ ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ ছিল না। তবে লকডাউনের মধ্যেও খোলা থাকবে কিছু পরিষেবা। সেগুলির মধ্যে জরুরি পরিষেবা ছাড়াও থাকছে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়। পাব ও রেস্তোরাঁয় বসে পানাহার করা যাবে না। তবে খাবার ও পানীয় কিনে নিয়ে যাওয়া যাবে।
দেশজুড়ে সংক্রমণের হার লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে—বিজ্ঞানীদের তরফে এই মর্মে সতর্কতা পাওয়ার পরেই ফের লকডাউনের পথে হাঁটলেন জনসন। এর আগে ইংল্যান্ডে প্রথম দফার লকডাউন ছিল ২৩ মার্চ থেকে ৪ জুলাই। সে বারও লকডাউন দেরিতে ঘোষণা করায় সমালোচিত হয়েছিলেন জনসন। তিনি নিজেও কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এপ্রিলে।
এখনও অবধি ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অতিমারিতে মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে ইংল্যান্ডের স্থান পঞ্চম। তার আগে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকো।