ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে জিউমা হুসেফকে সাসপেন্ড করল সে দেশের আইনসভা। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মিশেল তেমের। ‘অভ্যুত্থান’ করে তাঁকে সরানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন জিউমা। ব্রাজিলে ভয়াবহ আর্থিক মন্দা ও রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কেলেঙ্কারির জেরে হুসেফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। হুসেফের বিরোধী পক্ষে যোগ দেন তাঁর সরকারের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমেরও। ফলে রিও অলিম্পিকের কয়েক মাস আগেই বড় রাজনৈতিক গোলযোগ দেখা দেয় পেলের দেশে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের ‘ইমপিচমেন্টে’ বা সরিয়ে দেওয়ায় আইনসভা সেনেট সায় দিলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সেনেট। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে ‘ইমপিচ’ করা হয়। এ দিনের ভোটাভুটিতে জিউমার বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’-এর প্রক্রিয়া শুরুতে সায় দিয়েছে সেনেট। ভোটের ফল জানার পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন জিউমা-বিরোধী সেনেটররা।
পরে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন জিউমা। তাঁর দাবি, অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করলেন বিরোধীরা। জিউমার কথায়, ‘‘আমি ভুল করলেও অন্যায় করিনি। অবিচারের শিকার হলাম।’’ জিউমাকে সরানো নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত ব্রাজিল। আজ ব্রাসিলিয়ার পথেও তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। সেনেটের বাইরে জিউমা-বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে বিশাল ধাতব বেড়া রেখেছিল পুলিশ। এক বার ধস্তাধস্তি এড়াতে হস্তক্ষেপও করতে হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে।