জেল থেকে মুক্তি পেলেন ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুলা।
দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের জেল হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় মুক্তি পেলেন লুলা দা সিলভা। গত কাল ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে জেলের বাইরে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। জেল থেকে বেরিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতটি আকাশে ছুড়ে দেন লুলা।
২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ শাসন করেছেন বামপন্থী লুলা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিরোধীরা। ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ নামে ওই কেলেঙ্কারিতে জেল হয় ব্রাজিলের বহু ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারও। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন লুলা। কিন্তু ২০১৮ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। পরে সেটাই কমে দাঁড়ায় আট বছর দশ মাসে।
কিন্তু গত কাল ৭৪ বছরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুক্তি পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক সাম্প্রতিক রায়ের প্রেক্ষিতে। আগে ব্রাজিলে আইন ছিল, এক বার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে কোনও অপরাধী সেই মামলা হেরে গেলে, তিনি আর পরবর্তী কালে সেই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু সম্প্রতি আদালত বলে, একের বেশি বার রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন অপরাধীরা। এবং লুলা যত দিন না সেই সংখ্যা অতিক্রম করছেন, তাঁকে কেউ জেলে আটকে রাখতে পারবেন না।
জেল থেকে বেরিয়েই দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে একহাত নিয়েছেন লুলা। তিনি জেলে থাকাকালীনই অতি দক্ষিণপন্থী জাইর বোলসোনারো ক্ষমতায় আসেন। জেলে থাকার জন্য নির্বাচনে লড়তে পারেননি লুলা। লুলার বক্তব্য, বর্তমান প্রেসিডেন্টের আমলে আর্থিক মন্দায় ডুবে গিয়েছে ব্রাজিল। তিনি সর্ব শক্তি দিয়ে অতি দক্ষিণপন্থার বিরুদ্ধে লড়বেন বলে জানিয়েছেন লুলা।