ব্রিটিশ সংবাদিক ডম ফিলিপস ফাইল ছবি
আমাজ়নের গভীর জঙ্গলে গত ৫ জুন থেকে নিখোঁজ ব্রিটিশ সংবাদিক ডম ফিলিপস (৫৭) আদতে নিহত, শুক্রবার সরকারি ভাবে তা ঘোষণা করল ব্রাজিল পুলিশ। গত ৫ জুন থেকে ফিলিপস ও তাঁর সঙ্গী ব্রাজিলের জনজাতি বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেরা (৪১) নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গত বুধবার আটক এক সন্দেহভাজনকে জেরা করে জঙ্গলের তিন কিলোমিটার গভীর থেকে দুটি দেহাবশেষ ও ফিলিপস ও পেরেরার জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না-তদন্তে ওই দেহাবশেষের একটির দাঁতের গঠন মিলে গিয়েছে ফিলিপসের সঙ্গে। তার পরেই নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে, অন্য দেহাবশেষটি পেরেরার কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে এখনও। এ বিষয়ে অন্তত চার জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
গত রবিবার থেকে আমাজ়নের গভীর জঙ্গলে নিখোঁজ ছিলেন ফিলিপস ও পেরেরা। পেরুর সীমান্তবর্তী ব্রাজিলের জাভারি উপত্যকার কোনও এক নদীতে নৌকা নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তার পর আর কোনও খবর নেই। আটক সন্দেহভাজনের নাম আমারিলদো দা কস্তা ডি অলিভেরা ওরফে পেলাদো। সে পেশায় মৎস্যজীবী। আমাজ়নের গভীরে বেআইনি ভাবে মাছ ধরার কারবার চালাচ্ছিল সে। যার প্রতিবাদ করেন ডম ও ব্রুনো। প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই ওই দু’জনকে খুন করার কথা জেরায় কবুল করেছে পেলাদো।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আমাজ়নের জঙ্গল সংক্রান্ত একটি বই লেখার কাজ করছিলেন ডম। সেই গবেষণাতেই ব্রুনোকে সঙ্গী করে পাড়ি দিয়েছিলেন জঙ্গলে। কিন্তু তাঁর গবেষণা ক্ষেত্রটি আদতে চোরাই কাঠ পাচারকারী, চোরাশিকারি, অবৈধ সোনা খনন, বিশেষ করে মাদক পাচারকারিদের স্বর্গরাজ্য। ফলে, ফিলিপসদের সেখানে আনাগোনা বিন্দুমাত্র ভাল চোখে দেখেনি অনেকেই। এমনকি, তাঁর কাছে হুমকি ফোনও এসেছিল বলে জানিয়েছেন পরিজন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।