taliban

হেরাটের মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত আনসারি-সহ ১৮

ক্ষমতায় এসে তালিবান দাবি করেছিল, তাদের প্রত্যাবর্তনের পরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩০
Share:

এই মসজিদ চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি সংগৃহীত।

আফগানিস্তানে ফের মসজিদ চত্বরে বিস্ফোরণ! আজ নমাজের আগেই একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হেরাট প্রদেশের গাজ়ারগাহ মসজিদ। হেরাট প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র হামিদুল্লা মোতাওয়াকিল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জেরে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন। আহত কমপক্ষে ২৩ জন। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রভাবশালী তালিবানপন্থী মৌলবি মুজিব উর রহমান আনসারি। এ ছাড়া সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ওই মৌলবীর নিরাপত্তারক্ষীও নিহত হয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, মসজিদ চত্বরে পড়ে রয়েছে একাধিক রক্তাক্ত দেহ।

Advertisement

আজ বিস্ফোরণের পরে তালিবানের মুখপাত্র জ়বিউল্লা মুজাহিদও আনসারির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁর টুইট, ‘‘দেশের এক শক্তিশালী ও সাহসী ধর্মগুরু হিংসাত্মক আক্রমণে নিহত হয়েছেন।’’

হেরাট পুলিশের মুখপাত্র মাহমুদ রসোলি জানিয়েছেন, আনসারি-সহ বাকিরা মসজিদের সামনেই ছিলেন। সেই সময়েই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই আনসারিই চলতি বছরের জুলাইয়ে কাবুলের প্রকাশ্য জনসভায় নিদান দিয়েছিলেন, সরকার বিরোধী কাজে যাঁরা যুক্ত হবেন, তাঁদের মাথা কেটে নেওয়া হবে। তালিবান ক্ষমতায় আসার আগে আমেরিকা সমর্থিত সরকারের প্রতি একাধিক বার বিষোদগার করতেও দেখা গিয়েছে আনসারিকে। গত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তালিবানপন্থী দ্বিতীয় মৌলবি নিহত হলেন। এর আগে কাবুলের এক মাদ্রাসায় আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন রহিমুল্লা হক্কানি।

Advertisement

গত বছর ক্ষমতা দখলের পরেই তালিবান দাবি করেছিল, তাদের প্রত্যাবর্তনের পরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মূলত নমাজের সময়ে মসজিদ চত্বরকে নিশানা করছে আততায়ীরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই (শিয়া, সুফি, শিখ) নিশানা করা হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ হামলারই দায় স্বীকার করেছে আইএস। হক্কানির মৃত্যুর পিছনেও ছিল আইএস। হেরাটের হামলায় রাত পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠনই। তবে এ ক্ষেত্রেও সন্দেহের তির আইএসের দিকেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরপর দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রশাসন ২৩ জন আহতের উল্লেখ করলেও স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের প্রকৃত সংখ্যাও অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল সূত্রের। গুটিকয়েক চিকিৎসক নিয়ে পরিষেবা অব্যাহত রাখতে হিমশিম দশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত নেই বলেও জানান চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের মর্গেও দেহ রাখার আর জায়গা নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement