— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছ’বছরের ছেলের দেহ নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন বাবা, মা। সেই মতো বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু বিমান কর্মীদের ভুলে ছেলের দেহ বিমানবন্দরেই রয়ে গেল। বাবা, মাকে নিয়ে উড়ে গেল বিমান। গন্তব্যে নেমে তাঁরা জানতে পারেন যে, ছেলের দেহ ফেলে এসেছেন। পাকিস্তানের ঘটনা। ইসলামাবাদ থেকে গিলগিট-বালটিস্তানের স্কার্দুগামী পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ)-এর বিমানে এই কাণ্ড হয়েছে। অভিযোগ, এক মন্ত্রী চাপবেন বলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ছিল বিমানটি। তখনই কর্মীরা ভুলে যান শিশুটির দেহ তুলতে।
স্কার্দু বিমানবন্দরে নেমে যখন জানতে পারেন ছেলের দেহ ফেলে এসেছেন, জ্ঞান হারান বাবা, মা। শিশুটির নাম মুজতবা। পাকিস্তানের খারমার্গ জেলার কাটসি গ্রামের বাসিন্দা। টিউমার হয়েছিল তার। স্কার্দুতে চিকিৎসা চলছিল। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাকে রাওয়ালপিন্ডির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। রাওয়ালপিন্ডিতে বেনজির ভুট্টো হাসপাতালে তিন সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলে মুজতবার। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি। বৃহস্পতিবার মারা যায় শিশুটি। রাওয়ালপিন্ডি থেকে সড়কপথে স্কার্দু যেতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। পাকিস্তানে এখন তীব্র গরম। সে কারণে মুজতবার বাবা, মা শুক্রবার ইসলামাবাদ থেকে পিআইএর বিমান ধরেন, যাতে তাড়াতাড়ি নিজেদের বাড়িতে পৌঁছতে পারেন।
সেখানেই বিপত্তি। শুক্রবার ভোরে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে নিয়ম মেনে কাগজপত্রে সইসাবুদ সেরে নেন। বিমানটি ইসলামাবাদ থেকে ওড়ার কথা ছিল সকাল ৯টায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা উড়েছিল দুপুর ১টায়। অভিযোগ, এক মন্ত্রী তাতে চাপবেন বলেই দেরিতে উড়েছিল বিমান। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এ এমনটাই দাবি করা হয়েছে। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কিছু জানাননি। মাঝে এই দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ে ঘটে বিপত্তি। বিমানে শিশুটির দেহ তুলতেই ভুলে গিয়েছিলেন কর্মীরা বলে অভিযোগ। দুপুর ২টোয় স্কার্দু পৌঁছে শিশুটির বাবা, মা জানতে পারেন বিষয়টি। এর পরেই বিমান সংস্থার কাছে অভিযোগ জানান। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শীঘ্রই পরের বিমানে শিশুটির দেহ তাঁর বাবা, মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।