বাঁ দিকে অমিত শাহ, ডান দিকে নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা ভোটের প্রচারেও নিয়ম করে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, আরজেডির পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করেছেন। কিন্তু আম আদমি পার্টি (আপ)-র জয়ের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে দিল্লির বিধানসভা ভোটে পরিবারতন্ত্রকেই আঁকড়ে ধরতে পারে তাঁর দল।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, আরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলকে রুখতে দিল্লির বিধানসভা ভোটে কৌশল বদলাতে চলেছে বিজেপি। আড়াই দশক পরে দেশের রাজধানী দখল করতে ভরসা রাখতে চলেছে দলের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতাদের পরিজনদের উপর। দুই প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র রয়েছেন এই তালিকার শীর্ষে— সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র প্রবেশ এবং মদনলাল খুরানার পুত্র হরিশ। প্রবেশকে নয়াদিল্লি এবং হরিশকে মোতিনগর থেকে টিকিট দেওয়া হবে বলে পদ্ম শিবিরের একটি সূত্র জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির আর এক প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুষমা স্বজারের কন্যা বাঁশুরি এখন নয়াদিল্লির বিজেপি সাংসদ।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। কেজরী বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ১১ জন দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঘটনাচক্রে, তাঁদের মধ্যে ছ’জনই দলবদলু। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল কেজরীর দল। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী সাড়ে ন’বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে গত সেপ্টেম্বরে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অতিশী। ইতিমধ্যেই ১১টি বিধানসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন কেজরী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, লোকসভার মতো কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে নয়, একার শক্তিতেই দিল্লি বিধানসভা ভোটে লড়বে তাঁর দল।