প্রতীকী ছবি।
অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অভিবাসনে কড়াকড়ি এবং পরিবার ছোট রাখার প্রবণতা ইত্যাদি কারণে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। এ সবের ফলে পূর্বানুমানের চেয়ে দ্রুত হারে কমছে জাপানের জন্মহার। এমনই জানাল সে দেশের সংবাদমাধ্যম আশাহি শিমবানের একটি সমীক্ষার রিপোর্ট।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গণনার সূত্র এবং প্রাথমিক সব তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২১-এ সে দেশের জন্মহার আট লক্ষ পাঁচ হাজার। এই পরিসংখ্যান ২০২৮-র আগে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। ২০২০-তে সে দেশে জন্মহার ছিল আট লক্ষ ৪০ হাজার ৭৩২, যা কি না ২০১৯-র চেয়ে ২.৮ শতাংশ কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের তুলনায় করোনাকালে জাপানে বিয়ের সংখ্যা কমেছে। জন্মহার আরও হ্রাস পেতে থাকবে, যদি না যুবসমাজ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্যোগী হয়।
শুধু জাপানই নয় বিশ্বজুড়েই কমছে জন্মহার। ২০২১-এর সমীক্ষা অনুযায়ী চিন এবং তাইওয়ানের প্রজননের হার সবচেয়ে কম। মহিলা-পিছু শিশু জন্মের সংখ্যা ১.০৭। করোনা অতিমারির শুরুতে মজার ছলে প্রচার করা হয়েছিল যে, বিভিন্ন দেশে লকডাউনের ফলে প্রতিটি দেশে প্রচুর শিশুর জন্ম হবে। কিন্তু বাস্তবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা জন্মের হারের উপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছিল। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের অনুমান, এর ফলস্বরূপ আমেরিকায় প্রায় তিন লক্ষ শিশুর জন্মই হয়নি। জন্মহারে পতনের ফলেই চিন গত বছর তাদের নীতিতে পরিবর্তন এনে ঘোষণা করে, যে কোনও দম্পতি তিনটি সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বার তাদের জন্মহারে পতন লক্ষ করেছিল।