ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বুধবারই প্রথম ফোনে কথা হয়েছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই পেন্টাগন জানাল, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই চাইছেন তাদের নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। লয়েড-রাজনাথ বার্তালাপ প্রসঙ্গে কাল এক সাংবাদিক বৈঠকে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কার্বি বলেন, ‘‘দু’জনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনেকগুলি বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’ প্রতিরক্ষা তো বটেই, করোনা-মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই গৃহীত এবং আগামী পদক্ষেপ নিয়েও দু’জনের মধ্যে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাইডেন যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে বিশেষ উন্নতির ব্যাপারে এগোবেন, এমন একটা ইঙ্গিত গোড়া থেকেই ছিল। তা সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রানিং মেট কমলা হ্যারিসকে বেছে নেওয়াই হোক, বা নিজের ট্রানজিশন এবং কোর টিমে একাধিক ভারতীয়কে স্থান দেওয়া। সম্প্রতি বাইডেন টিমে ঠাঁই পেয়েছেন আরও দুই ভারতীয় মুখ। যাঁদের মধ্যে এক জন আবার বঙ্গসন্তান— আইনজীবী সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয় জন, অদিতি গোরুর। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের বরিষ্ঠ নীতি-পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন সোহিনী। ওই একই মিশনে থাকবেন অদিতিও।
পেন্টাগন এবং বাইডেন নিজে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে এখন যে সব কথা বলছেন, সোহিনীও নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া দু’টি সাক্ষাৎকারে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতেও ভারতের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা জরুরি বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও ২০২১-এ আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ও একজোট হয়ে কাজ করার ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সদ্য-প্রাক্তন অধ্যাপক। এর আগে বারাক ওবামা প্রশাসনেও সিনিয়র নীতি-পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন সোহিনী।
অদিতির জন্ম নাইজেরিয়ায়। ভারত, ওমান এবং অস্ট্রেলিয়ায় আমেরিকান প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে শান্তি রক্ষা অভিযানেও উল্লেখযোগ্য অবদান।