ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়া ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’ জেনিভায় যেন আক্ষরিক অর্থেই আন্তজার্তিক হয়ে উঠেছে। ফাইল ছবি
মানিকতলার পুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে, আর আমি দেশের বাইরে, এ রকম এর আগে কখনও হয়নি। তাই দেশ ছাড়ার সময়ে মনে হয়েছিল, এ বারের পুজোটা মনখারাপেই কাটবে।
না, জেনিভা তা হতে দিচ্ছে না। এখানকার বাঙালিরা সবাই মিলে এই প্রথম বার বারোয়ারি দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন। কুমোরটুলির ঠাকুর থেকে হাওড়ার জগন্নাথ ঘাটের ফুল, সব কিছুই চলে এসেছে। শুরুর বছর বলে আহারে-বহরে কম হলেও ‘আগমনীর’ পুজোয় আন্তরিকতার অভাব নেই। বাঙালি তো বটেই, ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মানুষও পুজোর সঙ্গে এসে জুড়ছে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়া ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’ জেনিভায় যেন আক্ষরিক অর্থেই আন্তজার্তিক হয়ে উঠেছে।
জেনিভায় রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেন্টার দে বেদান্তিক’-এর নিজস্ব দুর্গাপুজো অনেক পুরনো। জেনিভা ছাড়া জ়ুরিখ ও লুসানেও খুব ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়। জ়ুরিখের দুর্গোৎসব ইউরোপের অন্যতম বড় ও পুরোনো পুজোগুলোর একটি। দক্ষিণ সুইৎজ়ারল্যান্ডের লুসানে ‘প্রাঙ্গণ’-এর দুর্গাপুজো ঠিক যেন কলকাতার কোনও বড় বারোয়ারি। মহিলা পরিচালিত এই পুজোয় পাঁচ দিনে প্রায় এক হাজার পাত পড়তে চলেছে। ষষ্ঠী থেকে নবমী, প্রতিদিন ভিন্ন থিমের উপরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। বাংলাদেশের বাঙালিদের মধ্যেও এই পুজো নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।
সব মিলিয়ে আল্পসের পাদদেশে পুজো জমজমাট, ভাসানে ‘তাসা ড্যান্স’ না থাকলেও ধুনুচি নাচ আছে। তাই মানিকতলা থেকে জেনিভা, এ বারের পুজোয় মা-দুর্গার সঙ্গে আমরাও আন্তর্জাতিক।