—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাকে খুন করে দেহের টুকরো ফ্রিজে ভরেছিলেন যুবক। সেই ফ্রিজ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। তবু আইনের বেড়াজাল এড়াতে পারলেন না। দেশ ছেড়ে পালানোর আগে পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন। খুনের কথা স্বীকারও করে নিলেন নিজেই।
ঘটনাটি বেলজিয়ামের। মাকে খুন করার অভিযোগে ৩০ বছরের যুবককে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। লিয়েজ শহরে মিউস নদীর ধার থেকে এক মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। একটি ফ্রিজও উদ্ধার হয় নদীর খাল থেকে। তার মধ্যে কাটা দেহাংশ রাখা ছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই ঘটনাটির তদন্তে নামে পুলিশ। অন্য এক শহরের হোটেল থেকে ওই মহিলার পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যুবক দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলাকে খুন এবং তাঁর দেহ লোপাটের বিষয়ে গোপন সূত্র মারফত খবর এসেছিল তাদের কাছে। খোঁজ নিতে গিয়ে নদীর ধার থেকে মেলে দেহাংশ। গ্রেফতারির পর পুলিশের জেরার মুখে যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
অভিযোগ, তিনি প্রথমে মাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ বেশ কিছু টুকরোতে ভাগ করা হয়। হাত, পা আলাদা করে কেটে ফেলেন যুবক। একটি ফ্রিজে সেই দেহাংশগুলি ভরে ফ্রিজটি নদীতে ফেলে দেন। গত ১০ জুলাই নাগাদ খুনটি করা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।
তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক তাঁর মায়ের সঙ্গে হামেশাই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তেন। নিত্য অশান্তি লেগে থাকত তাঁদের মধ্যে। করোনা অতিমারির পর মায়ের সঙ্গে থাকতে এসেছিলেন যুবক। তার পর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। সেই ঝামেলার কারণেই এই খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।