India-China

অরুণাচলের ৩০টি জায়গার ‘নাম দিল’ চিন

হংকংয়ের একটি দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জ়াংনানের (অরুণাচলকে এই নামে ডাকে চিন) ৩০টি জায়গার ভৌগোলিক নাম পরিবর্তন করেছে বেজিং। এর মধ্যে ১১টি জায়গা বসতি এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অরুণাচল প্রদেশের উপর নিজেদের ‘অধিকার দর্শাতে’ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজ্যটির ৩০টি জায়গার নাম বদলে চিনা নাম রাখল বেজিং। এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত ছ’-সাত বছরে একাধিক বার এই কাজ করেছে তারা। এ বার নাম বদলের চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করেছে চিনের জনকল্যাণ মন্ত্রক। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নাম বদলালেই সেটা ওদের (চিনের) হয়ে যাবে না!

Advertisement

হংকংয়ের একটি দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জ়াংনানের (অরুণাচলকে এই নামে ডাকে চিন) ৩০টি জায়গার ভৌগোলিক নাম পরিবর্তন করেছে বেজিং। এর মধ্যে ১১টি জায়গা বসতি এলাকা। ১২টি পার্বত্য অঞ্চল, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পার্বত্য পথ (মাউন্টেন পাস) ও একখণ্ড জমি। চিনা মন্ত্রকের তরফে ওই সব অঞ্চলের মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৭ সালে প্রথম নাম বদল করেছিল চিন। তার পর ২০২১, ২০২৩ এবং সর্বশেষ ২০২৪। তাচ্ছিল্যের সুরে আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি যদি আজ আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, সেটা কি আমার হয়ে যাবে? অরুণাচল প্রদেশ চিরকাল ভারতের ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। নাম বদলে কোনও লাভ হবে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আমাদের সেনাবাহিনী রয়েছে।’’

Advertisement

নির্বাচনের আগে অরুণাচল নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তা মেটানো সম্ভব বলে সোমবার বিশ্বভারতীতে দাবি করলেন দিল্লির চিনা দূতাবাসের শার্জে দা’ফেয়ার তথা দূতাবাস কর্তা মা চিয়া। রবীন্দ্রনাথের চিন যাত্রার ১০০ বছর সম্পর্কে দু’দিন ব্যাপী আলোচনাসভা চলেছে বিশ্বভারতীতে। তাতে যোগ দিয়ে মা চিয়া বলেন, ‘‘অরুণাচল ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা যে রয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। দুই দেশের মধ্যেই কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে আলোচনা হচ্ছে। হয়তো এই সমস্যা মেটানো শক্ত। তবুও আমরা আশাবাদী যে, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মিটতে পারে।’’

অনুষ্ঠানে দিল্লির চিনা দূতাবাস কর্তা মা চিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা চিনা দূতাবাসের কনসাল জেনারেল ছিন ইয়ং, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক ও চিনাভবনের বিভিন্ন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও পড়ুয়ারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement