—প্রতীকী চিত্র।
শান্তি ছারখার করে দিয়েছে ছারপোকা। ঘরে-বাইরে সর্বত্র ছয়লাপ। ট্রেন-বাসের আসন, সিনেমা হল—কোথাও নিস্তার নেই। রক্তচোষা একরত্তি পোকাটিকে নিয়ে নাজেহাল দক্ষিণ কোরিয়া।
পর্যটকদের জমজমাট ভিড়ের মধ্যে এমন বিড়ম্বনায় শাঁখের করাতের মধ্যে পড়তে হয়েছে। একই উপদ্রব দেখা দিয়েছে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনেও। ওই দুই দেশ থেকে আসা পর্যটকদের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। অন্য বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও আসা-মাত্র যাবতীয় জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করতে বলেছে প্রশাসন। কিন্তু প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলি চিহ্নিত করে এখনই প্রকাশ করতে নারাজ সরকার, পাছে অতিমারির চোট সদ্য
সামলে ওঠা পর্যটনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। অন্তত ত্রিশটি জায়গায় ছারপোকার উপদ্রব বেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যার অর্ধেকের বেশি রাজধানী সোলেতে।
প্রায় দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চার সপ্তাহের ছারপোকা-দমন অভিযান শুরু হয়েছে। প্রশাসনের থেকে বলা হচ্ছে, গণপরিবহণ আর সিনেমা হল যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে। আপাতত ট্রেনের আসন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পরে ক্রমশ কাপড় সরিয়ে প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়া হবে। বাস ও ট্যাক্সি দিনে দু’বার পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।