—প্রতীকী ছবি।
মাস ঘুরতেই উৎসব শুরু পশ্চিমবঙ্গে। তার আগেই বাজারে আসতে চলেছে বাংলাদেশের ইলিশ।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঘোষণা করেন, পুজোর আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশ রফতানিতে ছাড় দেওয়া হবে। এই রফতানির একটা বড় অংশের গন্তব্য হবে ভারতের, বলা ভাল পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলি। এ ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্যও পাঠানো হবে উৎকৃষ্ট ইলিশ।
বাংলাদেশে দেশীয় বাজারে ইলিশের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে বহু বছর ধরেই। গত কয়েক বছর পুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশপ্রেমীদের মনে রেখে রফতানিতে ছাড় দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
কিন্তু গত বারের থেকে বাংলাদেশে এ বার ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। সাগরে প্রচুর ইলিশ মিললেও নদীতে তাদের ঝাঁকের দেখা সে ভাবে মেলেনি। সাগরের ইলিশ নদীর মিষ্টি জলে দিন কয়েক সাঁতরানোর পরে তাদের শরীরের নুন কাটে, পেটে জমে তেল। তাতেই বাড়ে স্বাদ-গন্ধ। এ বার বড় বড় ইলিশ দাম দিয়ে কিনেও তাই সেই স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না বলে নালিশ অনেকের। নদীতে মাছ না-মেলায় বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দামও এ বার অনেকটাই বেশি। তার পরেও ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত কেন, এই প্রশ্ন ধেয়ে আসে মন্ত্রীর দিকে। মন্ত্রী জবাবে বলেন, “ইলিশ আমরা নিয়মিত রফতানি করি না। শুধু যে সব ভিন্ দেশি বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ ভালবাসেন, তাঁদের জন্য উৎসবের শুভেচ্ছা হিসেবে ইলিশ রফতানি করা হয়। সারা বছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রফতানি করিনি। শুধু এই ১৫ দিন বা এক মাসের জন্য কিছু ইলিশ রফতানি করা হবে।”
দেশে প্রতি বছরে ছ’লক্ষ টন ইলিশ উৎপাদিত হয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দু’হাজার টন ইলিশ ধরা হয়ই। তাই, এ বার বড়ো জোর পাঁচ হাজার টন ইলিশ রফতানি করা হবে। অর্থাৎ, সারা বছরের দু’দিনের উৎপাদন আমরা রফতানি করব।”