কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। ছবি: রয়টার্স
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে পথে নেমেছেন পড়ুয়ারা। কোটা সংস্কার নিয়ে হাই কোর্টের রায় বাতিল করে নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর সেই সঙ্গেই এ বার পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষে ফেরারও কথা বলেছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় সওয়ালকারী এক আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের হাত ধরে। রবিবার শুনানির সময় সেই ছাত্র-ছাত্রীদেরই শ্রেণিকক্ষে ফেরার কথাই বলল সুপ্রিম কোর্ট। কোটা সংস্কার নিয়ে মামলায় দুই ছাত্রের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষে ফিরতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।’’ রায়দানের পর এই কথা বলা হয়।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কেবল সাত শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ আসনেই নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এই রায় অনুযায়ী, সে দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। তবে আগের মতো ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে না। ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এখন পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন থেকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কেবল পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। বাকি দুই শতাংশের মধ্যে এক শতাংশ আসন অনগ্রসর শ্রেণির জন্য এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকছে।
এই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। শুক্রবার রাতে জারি করা হয়েছে কার্ফু। রবি এবং সোমবার দেশের সব দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা। এই আবহে বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এ বার ছাত্রদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে বলল সুপ্রিম।