Dengue in Bangladesh

ডেঙ্গিতে জেরবার বাংলাদেশে সাফল্য ভ্যাকসিন পরীক্ষায়  

বাজারে ছাড়ার আগে প্রথা মেনে আরও পরীক্ষা হবে এই ভ্যাকসিনের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরীক্ষায় যে সাফল্য মিলেছে, তা নিঃসন্দেহে যথেষ্ঠ আশার আলো দেখাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৬
Share:

ডেঙ্গির সংক্রমণ মাত্রাছাড়া বাংলাদেশে। ছবি: পিটিআই।

বাংলাদেশ জুড়ে ডেঙ্গি সংক্রমণের মধ্যে আশার খবর। ডেঙ্গির প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিনের গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলল সে দেশে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে পৃথিবীতে মেলা চার ধরনের ডেঙ্গি ভাইরাসের বিরুদ্ধেই মানুষের দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র এবং আমেরিকার ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক, যার নাম দেওয়া হয়েছে টেট্রাভ্যালেন্ট-০০৫।

Advertisement

কোভিড অতিমারির ধাক্কা কাটতে না কাটতে চলতি বছরে এডিস মশা-বাহী ডেঙ্গির সংক্রমণ মাত্রাছাড়া হয়েছে বাংলাদেশে। সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মরসুমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা ২ লক্ষের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। এ দিনও ৯ জন মারা যাওয়ায়, এ পর্যন্ত চলতি মরসুমে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬৭ জনে। এ বার ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, সিলেট-সহ দেশের প্রায় সর্বত্র ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গির ভ্যাকসিনে ভরসা খুঁজছে প্রশাসন।

বিজ্ঞান পত্রিকা ল্যানসেট-এ বুধবার বাংলাদেশে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন পরীক্ষায় সাফল্যের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের টিকা প্রকল্পগুলি পরিচালনা করে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিন তৈরির পরে ২০১৬-র ১৩ মার্চ থেকে ২০১৭-র ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১৯২ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। এঁদের মধ্যে এক বছরের শিশু থেকে ৫০-এর বেশি বয়স্ক নারী ও পুরুষ ছিলেন। সামান্য র‌্যাশ বেরোনো ছাড়া কারও দেহে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বিজ্ঞানী রাশিদুল হক বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে— ভ্যাকসিনটি সম্পুর্ণ নিরাপদ। বিশ্বে যে চার ধরনের ডেঙ্গি ভাইরাস মেলে, ভ্যাকসিনটি প্রতিটির অ্যান্টিবডি মানবদেহে তৈরি করতে পেরেছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রেখে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কারও দেহে আর ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়নি। আর এক গবেষক মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, বাজারে ছাড়ার আগে প্রথা মেনে আরও
পরীক্ষা হবে এই ভ্যাকসিনের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরীক্ষায় যে সাফল্য মিলেছে, তা নিঃসন্দেহে যথেষ্ঠ আশার আলো দেখাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement