ঢাকায় বিএনপির শনিবারের মহাসমাবেশ ঘিরে অশান্তির রেশ কাটেনি এখনও। ফাইল চিত্র।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলির মহাসমাবেশের পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বাংলাদেশে। অশান্তির সেই আবহেই কট্টরপন্থী দল জামাতে ইসলামির প্রধান (আমির) শফিকুর রহমানের গ্রেফতারি ঘিরে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকা নতুন করে অগ্নিগর্ভ হল।
জামাতের অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে ঢাকার বসুন্ধরায় শফিকুরের বাড়িতে হানা দিয়ে কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া’র সঙ্গে যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলার কারণেই জামাত প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার শফিকুরের ছেলেকেও জঙ্গি-সংশ্রবের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার দিনভর ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, পথ অবরোধ করেন জামাত সমর্থকেরা।
আগামী বছর বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সে দিকে নজর রেখে সক্রিয় হয়েছে বিএনপি-সহ বিরোধী দল। তাদের মূল দাবি আওয়ামি লিগ নেত্রী হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে রেখে নির্বাচন করা যাবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছে বিএনপি। গত শনিবার মহাসমাবেশে অশান্তির পর ইস্তফা দেন বিএনপির ৭ জন সংসদ সদস্য। স্পিকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন।