গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ক্ষমতা হারানোর এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার সরকার নিষিদ্ধ করেছিল তাদের। কিন্তু পালাবদলের পর ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পর এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করলেন জামাত নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার গুলশানে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে হয় ওই বৈঠক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, বাংলাদেশ সফররত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের কাছে জামাত নেতারা আবেদন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে সব ফৌজদারি মামলার বিচার হবে, তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়।
জামাতের প্রধান (নায়েব-ই-আমির) তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লা মহম্মদ তাহের এবং দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার-সহ চার জন নেতা ছিলেন ওই বৈঠকে। পরে সাংবাদিকদের তাহের বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া, উন্নয়ন, অগ্রগতি, গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে মতবিনিময় করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছেন।’’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামাতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল। গত ৩০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার ‘মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী’ জামাত তাদের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট পালাবদলের পরে বদলে যায় পরিস্থিতি।