বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
পদ্মাপারের দুর্গাপুজো শান্তিপূর্ণ ভাবে আয়োজন করতে পদক্ষেপ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। পুজোর সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী ভাবে বজায় রাখা হবে, কী ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি বৈঠক হয়। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মন্দির কমিটিগুলির জন্য এ বার প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, পুজোয় নিরাপত্তার জন্য সাময়িক ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ হবে। সময় ভাগ করে তাঁদের দায়িত্ব বণ্টন করা হবে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ, জাহাঙ্গির জানিয়েছেন, মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য রাতে অন্তত তিন জন এবং দিনে কমপক্ষে দু’জন স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পুজোর দিনগুলিতে আজানের কমপক্ষে পাঁচ মিনিট আগে থেকে মাইক, ঢাক বা অন্য বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। নামাজ শেষের পর তা আবার চালু করা যাবে।
এ বারে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজারের আশপাশে হওয়ার সম্ভাবনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও ভাবে অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুজোর সময় বাংলাদেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুজো মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে।