ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লেপার জন্যই অশান্তি বাধানো হচ্ছে। বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই জানাচ্ছে ঢাকা। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকার আবার মনে করিয়ে দিতে চাইছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশের ঘরোয়া নীতির মূল স্তম্ভ। সরকার উদ্বেগের সঙ্গে নজর করছে, কায়েমি স্বার্থের গোষ্ঠী ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের বশবর্তী হয়ে এই ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ঘটিয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দাজনক যে পঞ্চাশ বছর আগে যে সব স্থানীয় গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনও বিষাক্ত বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছে, যাতে ঘৃণা, হিংসা বাড়ে।’ ঢাকা নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে, দু’দেশের মানুষের মধ্যে আস্থা ও প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট হলে জয়ী হবে সেই মৌলবাদীরাই, যারা হাসিনা
সরকারকে যে কোনও মূল্যে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, ‘আইন বিভাগ এবং তদন্তকারী গোষ্ঠীর হাতে যে প্রযুক্তি রয়েছে, তাকে কাজে লাগিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের শীর্ষ নেতারা হামলার জায়গাগুলি নিজেরা ঘুরে দেখেছেন। সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা হবে।’ পাশাপাশি এ কথাও জানানো হচ্ছে যে, সে দেশের গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, শিল্পী ও লেখক, খেলোয়াড়, সবাই ঘটনার নিন্দা করছেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও মাঠে নেমেছেন, যাতে দেশে কোথাও সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ না হয়।
পাশাপাশি ভারতের কিছু অংশের আচরণে যে ঢাকা আহত, বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে সেটাও জানানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে যে স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে এই অশান্তিকে ‘গণহত্যা’ বলা হয়েছে। বিষয়টিতে খুবই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ নেতৃত্ব। একই ভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সামাজিক মাধ্যমে যে সব বিবৃতি দিচ্ছে, তাতেও বিষয়টিকে গণহত্যা বলা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সাউথ ব্লকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে তারা। বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে বলা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার এই ঘটনার পরে সর্বতো ভাবে ঢাকার পাশে রয়েছে।