ফাইল চিত্র।
ভোর ৫টা বেজে ৫৬ মিনিটে সামরিক বাদ্যে করুণ সুরের মধ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী ও অন্য মন্ত্রীরা। বাংলাদেশে ৫১তম স্বাধীনতা দিবস পালনের সূচনা হল এই ভাবে। সরকারি কর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে স্মৃতিসৌধের আগল খুলে দেওয়া হয় সাধারণের জন্য। হাজার হাজার মানুষ ফুলের স্তবক নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এর পরে গোটা দিন দেশের সর্বত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১-এ মার্চের ২৫ তারিখে রাজাকার ও আল বদর বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানি সেনারা যে গণহত্যা চালায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন, এই ভূখণ্ড আর পাকিস্তানের অংশ নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন। তাঁর এই আহ্বানের পরেই দেশ জুড়ে মানুষ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন। এই দিনটিকে বাংলাদেশে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতার এই যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়ে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় পাকিস্তানি বাহিনীকে। এই দিন বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিছু দিন আগেই দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, উন্নয়নের ক্রোশফলক হিসেবে যা বিবেচিত হবে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় হাই কমিশন ভবনে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসেও ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসে শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠান করা হয়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় শেখ মুজিবের মর্মর মূর্তিতে। ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক আহমেদ, কাউন্সিলর বশীরুদ্দিন ও উপদূতাবাসের অন্য কূটনীতিকেরা।