—প্রতীকী চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক উড়ান বন্ধ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। তাই নিজেদের বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে ঢাকায় গিয়ে আজ থেকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে টানা ছ’দিন বৈঠকে বসার কথা ছিল বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি রবিবার জানিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে উড়তেই পারেনি বিএসএফের বিমানটি। তাই ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরের দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। কবে ফের বৈঠক হবে, পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে প্রায় প্রতি বছরই এই সম্মেলনটি হয়। বিএসএফের নবনিযুক্ত ডিজি রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বড় ও মেজ কর্তাদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দলের আজই ঢাকায় পৌঁছনোর কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিজিবি-র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম শাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকার পিলখানায় তাদের সদর দফতরে অপেক্ষা করছিল। বিজিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা এবং দিল্লি ও কলকাতার মধ্যে সব আন্তর্জাতিক উড়ান ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকায় বিএসএফের দলটি তাদের নিজেদের উড়োজাহাজে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু শেষ সময়ে কারিগরি সমস্যায় সেটি ওড়েনি।
বাংলাদেশের হিসেব অনুযায়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এ বছর অগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত দু’বছরে এই সংখ্যা হঠাৎই বেড়েছে। বিজিবি জানিয়েছিল, সীমান্তে প্রাণহানি শূন্যে নিয়ে যেতে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করত এই সম্মেলনে। অন্য দিকে, বিএসএফ মাদক, গরু, জাল নোট ও সোনা পাচার ঠেকাতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে যোগাযোগ নিবিড় করা ও সীমান্তে যৌথ টহলদারির বিষয়টি গুরুত্ব দিত আলোচনায়।