প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইদের আমেজে বিপাকে করাচির মানুষ। শহরে একের পর এক এটিএম অর্থশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকা হাতে পাচ্ছেন না। ইদে মন খুলে খরচ করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই অনেকের।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা এখন আর কারও অজানা নয়। গত কয়েক মাস ধরেই সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের এই পড়শি দেশে। বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিলে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও তীব্র আকার নিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এতই বেড়ে গিয়েছে যে, দুধের প্যাকেট কিংবা আটা, ময়দা নিয়ে প্রকাশ্যে কাড়াকাড়ি করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানিদের।
অর্থনৈতিক অনটনের মাঝে চলতি বছর পাকিস্তান হজে কাউকে পাঠাতে পারেনি। এই প্রথম হজের কোটা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উৎসবেও অনটনের ছাপ। করাচির রাস্তায় নগদ টাকার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে।
পাকিস্তানে ইদ পালিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার। তার আগে বুধবার করাচি শহরের বেশির ভাগ এটিএম-ই অর্থশূন্য হয়ে পড়ে। সকাল থেকে বার বার এটিএমে গিয়েও টাকা তুলতে পারেননি অনেকে। নগদ টাকা না থাকায় ইদের উদ্যাপনেও খামতি থেকে যাচ্ছে।
ইদে অনেকেই একসঙ্গে অনেক টাকা নগদ খরচ করেন। সেই কারণেই এটিএমগুলির উপর চাপ পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। করাচির এই এটিএম সঙ্কটের ছবিতে পাকিস্তানের অর্থনীতির সামগ্রিক ছবি ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।