(বাঁ দিকে) সুশান্ত সিংহ রাজপুত। দেবেন্দ্র ফডণবীস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০২০ সালের ১৪ জুন। গোটা দেশে তখন অতিমারি ও লকডাউনের আবহ। বেলা একটু গড়াতেই খবর মেলে, প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। অভিনেতার রহস্যমৃত্যু নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। অভিনেতা কি আত্মহত্যা করেছেন? না তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? অভিনেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তাঁর পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। তার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। এর মধ্যেই বদল ঘটেছে মহারাষ্ট্র সরকারেও। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফডণবীস বলেন, ‘‘প্রথমে যে খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সেটা পুরোটাই কানাঘুষো ছিল। তবে এখন বেশ কয়েক জন ব্যক্তি সাক্ষ্যপ্রমাণ সমেত এগিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা তাঁদের জানিয়ছি, তাঁরা যেন পুলিশের কাছে সেই সব তথ্যপ্রমাণ জমা দেন।’’ ফডণবীস যোগ করেন, ‘‘আমরা এখন হাতে আসা প্রমাণ যাচাই করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। তদন্ত পুরোদমে চলছে। তা শেষ হওয়ার আগে কোনও কিছু বলে দেওয়া উচিত হবে না।’’
সুশান্তের অকালপ্রয়াণের পরে তাঁর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তদন্ত এগোতে থাকলে অভিনেতার রহস্যমৃত্যুর সঙ্গে মাদকচক্রের যোগসাজশ সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকেও। প্রায় এক মাস গরাদের পিছনে কাটান রিয়া। শুধু তা-ই নয়, সুশান্তের রহস্যমৃত্যুর পরে বলিউডে দলবাজি ও স্বজনপোষণ নিয়ে একাধিক বার অভিযোগ শানান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও।