মৃত্যু দুই শিশু ও এক শিক্ষিকার। প্রতীকী ছবি।
দুপুর বেলা কিন্ডারগার্টেনের শিশুরা সবাই ঘুমোচ্ছিল। আচমকাই হাতে একটি ডাবল ব্যারেল শটগান নিয়ে সেই স্কুলে হাজির হয় এক ব্যক্তি। চারটি শিশু ও কয়েক জন শিক্ষিকার উপরে গুলি চালাতে শুরু করে সে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই ব্যক্তি নিজেও গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে। আজ রাশিয়ার পশ্চিম প্রান্তে মধ্য ইউলিয়ানভস্ক প্রদেশের একটি গ্রামে ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই শিশু ও এক শিক্ষিকার। ওই প্রদেশের তথ্য দফতরের প্রধান দিমিত্রি কামাল জানান, গুলিতে আহত হয়েছেন এক তরুণী শিক্ষিকা ও দুই শিশু।
ভেশকায়েম গ্রামের ওই স্কুলটির মূল গেটে ঘটনার সময়ে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ফলে বন্দুকবাজ সহজেই স্কুলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে।
ইউলিয়ানভস্ক প্রদেশের প্রাক্তন গভর্নর সের্গেই মোরোজ়োভ রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, নিহত শিশুদের মধ্যে এক জনের বয়স ছয় ও অন্য জনের বয়স চার বছর। নিহত ও আহত শিশু বা শিক্ষিকাদের নাম-পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেনি পুলিশ। আততায়ীর নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
কী কারণে এই হামলা, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানাচ্ছে, পারিবারিক কারণেই এই হামলা। গোটা ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
হামলার পরে ইউলিয়ানভস্ক প্রদেশের বর্তমান গভর্নর আলেক্সি রাসকিখ স্কুল পরিদর্শনে যান। ভাইস গভর্নর আলেকজ়ান্ডার কোরোবকো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দুকবাজের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটি তার নিজের নয় বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। সে কারও থেকে সেটি নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শটগানটি কার, তা জানতে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিশ।
স্কুলে হামলা রাশিয়ায় নতুন নয়। গত বছর মে মাসে টারাস্টানের কাজ়ান শহরের একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় সাত পড়ুয়া ও দুই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছিল।