Junta Air Strike in Myanmar

জমিতে পিছু হটছে জুন্টার সেনা, বিদ্রোহীদের ঠেকাতে তাই নির্বিচারে বিমানহানা মায়ানমারে! হত ১৭

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইয়াওয়াডি জানাচ্ছে, বুধবার রাত থেকে সাগায়াং প্রদেশে ধারাবাহিক বিমানহানায় অন্তত নারী, শিশু-সহ ১৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৪
Share:
At least 17 killed and 30 wounded as Junta Jet bombs gold mine in Sagaing Region of Myanmar

বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। —ফাইল ছবি।

জমিতে লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাচ্ছে নতুন কিছু এলাকা। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমারের জুন্টা সরকার নতুন রণকৌশল নিল। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইয়াওয়াডি জানাচ্ছে, বুধবার রাত থেকে সাগায়াং প্রদেশে ধারাবাহিক বিমানহানায় অন্তত নারী, শিশু-সহ ১৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ৩০।

Advertisement

মনিওয়া, চাউং-উ এবং সালিংই শহরে হামলা চালাতে জুন্টা সেনা প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে বলে ওই এলাকা সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মির ঘাঁটির এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তঘেঁষা কাচিন প্রদেশে আর সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)-র ডেরায় মায়ানমার সেনা। তাতেও সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল।

কিন্তু এ বার সুনির্দিষ্ট ভাবে অসামরিক বসতি এলাকা লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ গড়ে সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’। ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ)-র পাশাপাশি সেই ত্রিদলীয় জোটের অন্যতম সহযোগী ছিল ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)। সম্প্রতি এমএনডিএএ শান্তিচুক্তি করলেও পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হওয়া ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)-ও এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement