চিনের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী কুন গাং। ছবি: সংগৃহীত।
মার্চের গোড়ায় নয়াদিল্লি আসতে পারেন চিনের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী কুন গাং। সে ক্ষেত্রে দায়িত্ব পাওয়ার পরে এটি হবে তাঁর প্রথম ভারত সফর। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে গাংকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এলে ওই সম্মেলনের পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে গাংয়ের দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে গাংয়ের সম্ভাব্য সফর গভীর তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে গত আড়াই বছর ধরে চিনা সেনার আগ্রাসন এবং সংঘাতের বিষয়টিকে জি২০ সভাপতিত্বের সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবে ভারত। জানা গিয়েছে, জি২০ গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের আসন্ন বৈঠকটিকেও এই একই উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হতে পারে। সম্মেলনের পাশাপাশি আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং জাপানের মতো দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকেও চিনের আগ্রাসনের বিষয়টি তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংক্রান্ত বর্তমান স্থিতাবস্থা যে বেজিং একতরফা ভাবে লঙ্ঘন করেছে, সেই তথ্য ওই দেশগুলির সামনে নথি-সহ তুলে ধরা হবে। সূত্রের খবর, ভারত-চিন সীমান্তে বেজিংয়ের সম্প্রসারণবাদকে চিহ্নিত করে বিশ্বের সমর্থন টানার একটা চেষ্টা নয়াদিল্লির দিক থেকে থাকবে। তবে তা করা হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে, ভারসাম্য বজায় রেখেই।
গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চিনের সেনা। ভারতের সেনার তরফে বিনা প্ররোচনায় চিনের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পরে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান, চিন একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনায় ফের দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।