জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার টহল। ছবি: সংগৃহীত।
ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে পাল্টা চাপে পড়ল পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বদলে নিজের দেশের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত, পাকিস্তানকে পাল্টা জানালেন দুই মার্কিন সেনেটর।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করে রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্র শাসিত এলাকায় ভাগ করেছে কেন্দ্র। তা নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতের বিরোধিতা করে আসছিল পাকিস্তান। বুধবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করে দেয় পাকিস্তান। পাশাপাশি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। পাশাপাশি মার্কিন বিদেশ দফতরও জানিয়েছিল যে, এই পদক্ষেপের কথা তাদের আদৌ জানায়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বেশ চাপের মুখেই পড়েছিল ভারত। কিন্তু বুধবার মার্কিন আইনসভার দুই সদস্যের যৌথ বিবৃতি উল্টে পাকিস্তানকেই চাপে ফেলে দিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বুধবার রাতে মার্কিন সেনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির সদস্য রবার্ট মেনেন্দেজ এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ারস কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঞ্জেল একটি যৌথ বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতিতে ওই দুই সদস্য বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা থেকে পাকিস্তানের দূরে থাকা উচিত। এর মধ্যে যেমন নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে জঙ্গিদের সাহায্য করার বিষয়টিও রয়েছে, পাশাপাশি দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত পাকিস্তানের।”
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা, কাশ্মীরে মৃত্যু, পথে ডোভাল
আরও পড়ুন: দূতকে বহিষ্কার করে পাক বার্তা, আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপের মুখে ভারত
আরও পড়ুন: ‘ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বদলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করুন’, কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বলল আমেরিকা
পাশাপাশি মার্কিন আইনসভার ওই দুই সদস্য এও বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতের সামনে সমস্ত নাগরিককে রক্ষা করা এবং সমানাধিকার দেওয়ার একটা সুযোগ এটা। স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক যোগদান গণতন্ত্রের ভিত্তি। আমরা আশা রাখব জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকার এই নীতি মেনেই চলবে।”