ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলকে ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে রোখার বার্তা দিয়েছিল হামাস। এ বার তেল আভিভকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল ইরানও। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লা জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলি সেনার মোকাবিলায় বন্দুকের ‘ট্রিগারে আঙুল’ রেখেছে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজ়বুল্লা। সে ক্ষেত্রে হামাস-ইজ়রায়েল চলতি সংঘাতে বিপর্যয়ের মাত্রা যে আরও বাড়বে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইরানের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “দু’সপ্তাহ আগে আমি পশ্চিম এশিয়ার বেশ কিছু দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা করি। লেবাননের প্রতিরোধকারী সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও আমার কথা হয়। আমি তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে যা জানতে পারি, তাতে বলাই যায় যে, তারা বন্দুকের ট্রিগারে আঙুল চেপে রেখেছে।” অর্থাৎ, প্রত্যাঘাত করতে তারা যে প্রস্তুত, সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখল ইরান। মন্ত্রী নির্দিষ্ট কোনও সংগঠনের নাম না করলেও তিনি যে লেবাননের সংগঠন বলতে হিজ়বুল্লার কথাই বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট।
গাজ়া এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে শিশু এবং মহিলাদের উপর ‘হামলা’ চালানোর নিন্দা করে ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মহিলা, শিশু এবং সাধারণ নাগরিকেরা মারা গেলে যে কোনও সম্ভাব্য পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।” চলতি সংঘাতে ইজ়রায়েলকে সরাসরি সাহায্য না করার জন্যও আমেরিকাকে আর্জি জানিয়েছে ইরান।
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলকে ঠেকাতে সে দেশের বাহিনীর উপর ‘সম্পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা জানিয়েছে প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসকে ঠেকাতে গাজ়া ভূখণ্ডে আরও বাহিনী বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনীও। শুক্রবার রাতেই ইজ়রায়েলি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় গাজ়া ভূখণ্ডে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, টানা দু’রাত গাজ়ার উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেই চলেছে তারা। পাশাপাশি সাঁজোয়া গাড়ি দিয়েও চালানো হচ্ছে হামলা।