আরিয়ানা গ্রান্ডে। ছবি: সংগৃহীত।
ফের ম্যাঞ্চেস্টারে ফিরতে চান মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে। গত সোমবার ব্রিটেনের এই ম্যাঞ্চেস্টার এরিনা স্টেডিয়ামেই আরিয়ানার অনুষ্ঠানের শেষে আম্তঘাতী বিস্ফোরণে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভক্তদের জন্য ফের সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুরের ঝড় তুলতে চান বলে জানিয়েছেন বছর তেইশের এই তারকা। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরিয়ানা বলেছেন, ওই অনুষ্ঠানে পাওয়া টাকা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
হামলার পরের দিন বিধ্বস্ত আরিয়ানা সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে ফ্লোরিডার বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু বলেছিলেন, তিনি মর্মাহত। আর তাতে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন নতুন প্রজন্মের এই হার্টথ্রব। ব্রিটেনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক পিয়ের্স মর্গান তো সরাসরি বলেইছিলেন, ‘‘বাড়ি ফিরে না গিয়ে আরিয়ানার উচিত ছিল ওই সময়টা ব্রিটেনে কাটানো।’’ তাই শনিবারের এই ঘোষণা সমালোচকদের বিরুদ্ধে আরিয়ানার পাল্টা জবাব বলে মনে করছেন তাঁর ভক্তরা। এ দিনের পোস্টে আরিয়ানা বলেন, ‘‘সে দিনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ রাখছি। যত দিন বাঁচব ওঁদের কথা ভাবব।’’
আরও পড়ুন:ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে জার্মানদের ‘খুব খারাপ’ বললেন ট্রাম্প
বিস্ফোরণের পর ব্রিটেনের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই ক’দিনে লন্ডনে বিদ্বেষমূলক আক্রমণের অভিযোগ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হিসেব বলছে, অভিযোগের গড় সংখ্যা দিনে যেখানে ২৮ ছিল তা এখন বেড়ে ৫৬ হয়েছে। কোথাও মুসলিম মহিলাদের ‘নকাব’ জাতীয় পোশাক পরার জন্য হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। কোথাও বা দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক ছবি-লেখার অভিযোগ। আবার কখনও গোটা একটা মুসলিম স্কুলকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই সন্ত্রাসে জড়িত সন্দেহে ধরপাকড় চলছে দেশ জুড়ে। শনিবারও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বয়স ২০ ও ২২। চ্যাথাম হিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত পাঁচ দিনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। এর মধ্যেই শনিবার লন্ডনে সন্ত্রাস সতর্কতার মাত্রা কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ধীরে ধীরে ছন্দেও ফিরছে লন্ডন।