Israel Hamas Conflict

যুদ্ধ থামাতে আমেরিকাকে চাপ দিচ্ছে আরব দেশগুলি, ইজ়রায়েলের নতুন হামলায় গাজ়ায় মৃত আরও ৬৮!

গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জ চালিত একটি স্কুল বর্তমানে হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে ইজ়রায়েল বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ। যাতে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০৬
Share:

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়া। —ফাইল চিত্র।

যুদ্ধ থামাতে আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করছে আরব দেশগুলি। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়াতেই আছেন। তাঁর কাছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন জর্ডন এবং মিশরের প্রতিনিধিরা। যুদ্ধের টাটকা ক্ষত হিসাবে তাঁরা তুলে ধরেছেন গাজ়ায় ইজ়রায়েলের সাম্প্রতিকতম হামলা, যা নতুন করে ৬৮ জনের প্রাণ কেড়েছে।

Advertisement

গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জ চালিত একটি স্কুল বর্তমানে হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবির হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যুদ্ধে যাঁরা আহত, তাঁদের চিকিৎসা চলছে সেখানে। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন। এমন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইজ়রায়েল বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ। যাতে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে মিশর এবং জর্ডন।

তবে আমেরিকার বিদেশ সচিবের গলায় শোনা গিয়েছে ইজ়রায়েলের সুরই। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার অর্থ গাজ়ায় হামাসের বশ্যতা স্বীকার করে নেওয়া, যা কখনওই করবে না ইজ়রায়েল।’’ হামাসকে সমূলে বিনষ্ট করার প্রতিজ্ঞা করেছেন নেতানিয়াহু। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘যুদ্ধবিরতির অর্থ হামাসকে গাজ়া নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া।’’

Advertisement

আমেরিকা অবশ্য ইজ়রায়েলকে সাময়িক ভাবে যুদ্ধ থামাতে বলেছিল। গাজ়ায় যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ নাগরিকদের মাঝে ত্রাণ বিলি করতে নেতানিয়াহুর কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। কিন্তু ইজ়রায়েল সেই আবেদন উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পণবন্দিদের হামাসের হাত থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতানিয়াহু।

গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায়। আড়াইশোর বেশি ইজ়রায়েলি নাগরিককে তারা পণবন্দি করে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছে। তাদের মুক্ত করাই ইজ়রায়েলের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান নেতানিয়াহু। হামাস শনিবার দাবি করেছে, ইজ়রায়েলের হামলায় ক্ষতি হচ্ছে পণবন্দিদেরও। ৬০ জনের বেশি ইজ়রায়েলি পণবন্দির খোঁজ মিলছে না। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলি ফৌজ কী করে, হামলা তারা চালিয়ে যায় কি না, সে দিকে নজর গোটা বিশ্বের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement