পুলিশহীন বাংলাদেশে মঙ্গলবার ঢাকার রাজপথ। ছবি: এএফপি।
রবিবারের পর সোমবারও শতাধিক মানুষের মৃত্যু। রবিবার ১১৪ জন। তার পর সোমবার অন্তত ১০৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই বিশৃঙ্খল ও উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে সম্পূর্ণ শিথিল হয়ে গিয়েছে কার্ফু। অথচ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, ঢাকার রাস্তায় মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশের দেখা মেলা ভার। কার্ফু শিথিল হতে রাস্তায় যাও বা সাধারণ মানুষের দেখা মিলল, উর্দিধারীদের প্রায় দেখা নেই বললেই চলে। ঢাকা শহরের কোথাও কোথাও ছাত্র-যুবদেরই রাস্তায় নেমে ট্র্যাফিক সামলাতে দেখা গেল।
‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে সে দেশের পুলিশকর্মীদের সংগঠন। মঙ্গলবার বিকেলে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওই সংগঠন। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক অশান্তিতে পুলিশকর্মীদের খুনে অভিযুক্তদের সাজা ও ক্ষতিপূরণ-সহ মোট ন’দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে পুলিশকর্ম
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পলায়নের পর ফের একপ্রস্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পদ্মাপারে। ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থানাগুলিতে হামলা চলেছে। অগ্নিসংযোগ হয়েছে। মিরপুর মডেল থানা, বাড্ডা, মহম্মদপুর, যাত্রাবাড়ি, ভাটারা-সহ ঢাকা শহরে একাধিক থানায় সোমবার রাতে হামলা চলেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকা শহরের কিছু থানার ভবন কার্যত ‘জনমানবশূন্য’ হয়ে গিয়েছে। সোমবার পর্যন্তও যে সেখানে থানা ছিল, পুড়ে যাওয়া ভবন দেখে তা বোঝা দায়। শুধু ঢাকাতেই নয়, বাংলাদেশের আরও একাধিক জেলাতে থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশকর্মীদের সংগঠন জানিয়েছে অন্তত ৪৫০ থানায় হামলা চলেছে। এমন অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে পুলিশকর্মীদের ওই সংগঠন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীর সঙ্গে ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ যোগাযোগ করলেও, তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের নির্দেশ মতো চলে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিকদের সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হয়। এখানে ব্যক্তিগত পদক্ষেপের জায়গা খুবই কম।