মোদীর সই সংগ্রহ করছেন আমেরিকার আইনপ্রণেতারা। ছবি: পিটিআই ।
আমেরিকা কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ‘মোদী-ঝড়’। তাঁর বক্তৃতা শেষ হতেই করতালি এবং ‘মোদী-মোদী’ স্লোগানে ভরে গেল অধিবেশন কক্ষ। সম্মান জানাতে আসন ছেড়়ে উঠে দাঁড়াতে দেখা গেল অনেককে। তাঁকে ঘিরে ধরে নিজস্বী তোলার হিড়িকও দেখা গেল আমেরিকার নেতাদের মধ্যে।
তিন দিনের আমেরিকা সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে চেপে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাইডেন সরকার। বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চেই ভাষণ দিলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এল ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে শুরু করে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, পরিবেশ, সন্ত্রাসবাদ-সহ বিভিন্ন বিষয়। প্রায় এক ঘণ্টার সেই নাতিদীর্ঘ ভাষণ শুনে মুগ্ধ আমেরিকার কংগ্রেসের ‘হাউজ় অফ রিপ্রেসেনটেটিভস’-এর স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি-সহ অন্য নেতারা। মোদীকে সম্মান জানাতে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান ম্যাকার্থি। তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন হাত মেলানোর জন্য।
তবে সব থেকে বেশি ভিড় দেখা গেল মোদীর অটোগ্রাফ নেওয়া এবং তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তোলার লাইনে। আমেরিকার আইনপ্রণেতা এবং ভারতীয় বিশিষ্ট সদস্যরা যখন মোদীর সই এবং নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত, তখন ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘বন্দে মাতরম’ রবও ওঠে সারা অধিবেশন কক্ষ জুড়ে।
মোদীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক। ছবি: সংগৃহীত।
মোদীর সঙ্গে জো এবং জিল বাইডেন। ছবি: পিটিআই।
আমেরিকায় থাকা ভারতীদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় কমলা হ্যারিসের দিকে আঙুল দেখিয়ে মোদী মন্তব্য করেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ভারতীয় শিকড় রয়েছে এমন অনেক আমেরিকান বসে আছে। আমার পিছনে এক জন আছেন, যিনি ইতিহাস তৈরি করেছেন।’’ তাঁর এই মন্তব্যের জন্যও অনেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।
অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী, আনন্দ মাহিন্দ্রা থেকে শুরু করে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। ছিলেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ লনে বিশেষভাবে সজ্জিত প্যাভিলিয়নে নৈশভোজে ৪০০-রও বেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিশেষ বিশেষ নিরামিষ পদ দিয়ে সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর থালা।