ছবি: সংগৃহীত।
বেজিংয়ের বিরুদ্ধে আরও এক বার সুর চড়াল ওয়াশিংটন। এ বার ফিলিপিন্স আর তাইওয়ান নিয়ে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নতুন করে আগ্রাসন নীতি নিয়েছে চিন। তাইওয়ান দ্বীপের গা ঘেঁষে চলছে একের পর এক চিনা যুদ্ধজাহাজের মহড়া। মাঝে মধ্যেই তাইওয়ানের আকাশে ঢুকে পড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান। যার মধ্যে রয়েছে ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী বিমানও। একই ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা জাহাজের চলাফেরা অস্বস্তি বাড়িয়েছে ফিলিপিন্সের। তারা জানিয়েছে, এতে তাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। গত কাল তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রীও কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেজিংকে। এ বার দুই সঙ্গী দেশকে রক্ষা করতে মুখ খুলেছে আমেরিকা।
তাইওয়ানকে বরাবরই সাহায্য করে এসেছে আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস গত কাল রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনকে। জানিয়েছেন, ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাইডেন প্রশাসন দায়বদ্ধ। প্রাইসের কথায়, ‘‘ফিলিিপন্সের সেনা বাহিনী, নৌ-যান বা বিমানে চিন সশস্ত্র হামলা করলে বা দক্ষিণ চিন সাগরে তারা অতিরিক্ত নাক গলালে আমেরিকা-ফিলিপিন্স যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী পাল্টা আক্রমণ করতে বাধ্য হবে আমেরিকা।’’
একই ভাবে তাইওয়ানকেও আর্থ-সামাজিক ভাবে রক্ষা করতে তারা দায়বদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রাইস। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অভিযোগ করেছে, খুব সম্প্রতি তাদের আকাশপথে ১৫টি চিনা বিমান বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়েছিল যার মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান।
চিনকে পাল্টা চাপে রাখতে এবং ফিলিপিন্স ও তাইওয়ান সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিতে এ বার উদ্যোগী আমেরিকার জো বাইডেনের প্রশাসনও। গত কালই তাইওয়ান প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আমেরিকান রণতরী জন এস ম্যাকেন রুটিন মহড়া চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।