COVID-19

Covid-19: এ বার চতুর্থ টিকা দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা শুরু আমেরিকায়

জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে আমেরিকায়। কিন্তু তা-ও নেহাত কম নয়। গত ২৮ দিনে ১ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:১০
Share:

মাস্ক পরেই নিজস্বী। নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল স্টেশনে। ছবি: রয়টার্স

কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ় দেওয়া শুরু করতে পারে আমেরিকা। এমনই ইঙ্গিত দিলেন হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা অ্যান্টনি ফাউচি। এ-ও জানালেন, বুস্টার ডোজ় কাদের দেওয়া হবে, তা প্রাপকদের বয়স অনুসারে বেছে নেওয়া হবে।

Advertisement

জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে আমেরিকায়। কিন্তু তা-ও নেহাত কম নয়। গত ২৮ দিনে ১ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। ৬৩ হাজার ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময়ে। এখনও এ দেশে এক দিনে লক্ষাধিক করোনা-রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সাংবাদিক বৈঠকে ফাউচি বলেন, ‘‘আরও এক ধাপ বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন পড়বে হয়তো। এ ক্ষেত্রে, এমআরএনএ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ় দেওয়া হবে বয়সে দেখে। কোনও জটিল শারীরিক সমস্যা থাকলেও দেওয়া হতে পারে।’’

তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার পরেও অতিমারি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। সাংবাদমাধ্যমের আশঙ্কা প্রকাশে ফাউচি জানান, এই কারণেই তৃতীয় ডোজ়ের পরে চতুর্থ ডোজ়ের কথা ভাবা হচ্ছে এবং সমস্যাগুলিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

অতিমারি এখনও মধ্যগগণে। গত কাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে জানানো হয়েছে, চিন্তা বাড়ানোর মতো আরও নতুন ভেরিয়েন্ট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বশেষ ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন ওমিক্রন। গত বছর নভেম্বরে এটি প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এটি সবচেয়ে সংক্রামক হলেও এর ক্ষতি করার ক্ষমতা অন্যদের থেকে কম। তাতেও ওমিক্রনের ‘ছোবলে’ গোটা বিশ্বে অন্তত পাঁচ লক্ষ মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফাউচি। হু জানিয়েছে, ওমিক্রন আসার পরে আমেরিকায় অন্তত ১ লক্ষ মৃত্যু হয়েছে। এখনও দিনে গড়ে ২৪০০ মৃত্যু হচ্ছে আমেরিকায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও লকডাউন চালিয়ে যেতে চায় না প্রশাসন। বাসিন্দারা তো নয়ই।

প্রশাসনিক কর্তাদের পরামর্শ ঘন ঘন করোনা পরীক্ষা করা হোক ও নিয়ম মেনে টিকা নেওয়া হোক। এক বছরের বেশি হয়ে গেল টিকাকরণ শুরু হয়েছে আমেরিকায়, কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৫ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা নিয়েছেন। এ দিকে, করোনা-বিধি তুলে দিতে চাইছে বহু প্রদেশ।

সাধারণ মানুষ আগের মতো স্বাভাবিক জীবন চান। আমেরিকায় রীতিমতো রাজনৈতিক এজেন্ডা হয়ে উঠেছে মাস্ক। সামনে মিডটার্ম নির্বাচন রয়েছে আমেরিকায়। এর ফলাফল দেখে বোঝা যাবে, জো বাইডেনের দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে, কি না। ডেমোক্র্যাট শাসিত প্রদেশগুলিতে মাস্ক-বিধি জারি ছিল। রিপাবলিকানরা চিরকালই করোনা-বিধির বিরুদ্ধে। রিপাবলিকান শাসিত প্রদেশ টেক্সাস ও ফ্লরিডায় তাই মাস্ক পরার নিয়মের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষের মন রাখতে তাই ডেমোক্র্যাটরাও এই নিয়ম নিয়ে তুলে দিতে চাইছে। সংক্রমণ ৯৬ শতাংশ কমে গিয়েছে দেখিয়ে ডেমোক্র্যাট-শাসিত প্রদেশ নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল ঘোষণা করেছেন, আজ মাস্ক পরার বিধির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। নতুন করে এই নিয়ম আর জারি করা হবে না। তবে স্কুলগুলোতে মাস্ক পরার নিয়ম চালু থাকবে। বাকি শহর-প্রশাসকের উপরে দায়িত্ব থাকবে। পরিস্থিতি দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইলিনয়েও মাস্ক পরার নিয়ম উঠে যাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে অবশ্য পুরনো নিয়মই বজায় থাকবে। ক্যালিফর্নিয়াতেও ঘোষণা করা হয়েছে, ১৫ তারিখের পর থেকে যাঁদের টিকা নেওয়া আছে, তাঁদের আর মাস্ক পরতে হবে না। নিউ জার্সিও মার্চ মাস থেকে বিধি তুলে দেওয়ার কথা ভেবেছে। ম্যাসাচুসেটসে এ মাসের পর থেকে স্কুলেও মাস্ক পরার নিয়ম থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement