ফাইল চিত্র
দুই রাষ্ট্র নীতিই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ সম্পর্কে এই মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্যালেস্তাইনি হামাস ও ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ১১ দিন ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলার পরে পরশু সংঘর্ষবিরতিতে সায় দেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অন্তর্বর্তী সরকার। হিংসা থামাতে আসরে নেমেছিল আমেরিকাও। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফেরাতে সবার প্রথমে জেরুসালেম শহরে সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধ করতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্যালেস্তাইন যত ক্ষণ পর্যন্ত ইজ়রায়েলকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না-করছে, তত ক্ষণ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’’ ইজ়রায়েলের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না-হয়, তার জন্য আমেরিকা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাবে, এ কথাও ফের জানিয়ে দেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘ইজ়রায়েলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য আমরা দায়বদ্ধ। এই অবস্থান থেকে আমেরিকা আদপেই সরছে না। তবে একই সঙ্গে আমাদের এটাও অবস্থান যে—ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইনকে দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে যত ক্ষণ না বহির্বিশ্ব মান্যতা দিচ্ছে, তত ক্ষণ ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়।’’
হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে বিশেষ প্রযুক্তির ‘আয়রন ডোম’ ব্যবহার করে ইজ়রায়েল। গত কয়েক দিনের ব্যাপক সংঘর্ষে যা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিন কয়েক আগে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, আয়রন ডোমের মেরামতি করে দেবে আমেরিকা। আর কাল সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন জানান, ইজ়রায়েলি রকেটে ক্ষতিগ্রস্ত গাজা পুনর্নিমাণেও সাহায্য করবে
তাঁর দেশ।
আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়ার বেশির ভাগ রাষ্ট্রই বহু দিন ধরে দু’টি রাষ্ট্র নীতিতে সায় দিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইন পাশাপাশি দু’টি সার্বভৌম রাষ্ট্র যাদের যৌথ রাজধানী থাকবে জেরুসালেম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এত দিনের সেই ঘোষিত নীতি থেকে সরে এসেছিলেন বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ও তাঁর জামাই জ্যারেড কুশনার মিলে যে পশ্চিম এশিয়া নীতির পরিকল্পনা করেন, তাতে প্যালেস্তাইনের সার্বভৌমত্ব যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীকে প্যালেস্তাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। বলাই বাহুল্য, প্যালেস্তাইনি নেতারা সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন।