মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি পিটিআই।
ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ এড়াতে নিজেকে একাধিক বার দেউলিয়া ঘোষণা করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আগেই উঠেছিল। এ বার বিস্তর কর ফাঁকির অভিযোগেও নাম জড়াল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আমেরিকার প্রথম সারির এক সংবাদপত্রের দাবি, গত ১৫ বছরে অন্তত ১০ বছর এক ডলারও আয়কর দেননি ধনকুবের ট্রাম্প। ঢাল সেই এক— ‘বাণিজ্যে ভরাডুবি’! রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ট্রাম্প এই খবরকে ‘ভুয়ো’ বলে ওড়ানোর চেষ্টা করলেও, ভোটের মুখে এই ‘অস্ত্র’ ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা।
গত কাল প্রকাশিত এক রিপোর্টে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ট্রাম্প শেষ বার আয়কর দিয়েছিলেন ২০১৭-য়। মাত্র ৭৫০ ডলার। ঠিক তার আগে, ভোটের বছরেও ওই ৭৫০ ডলারই! অথচ, ২০১৭-য় এই ট্রাম্প বা তাঁর সংস্থার তরফেই ভারতে প্রায় দেড় লক্ষ ডলারের কর মেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভোটের মাসখানেক আগে এই ব্যাপক দুর্নীতির খবর সামনে আসতেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মার্কিন কংগ্রেসের তরুণতম সদস্যা বছর তিরিশের ডেমোক্র্যাট নেত্রী আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কোর্তেজ় টুইটারে লিখলেন, ‘‘মাত্র ৭৫০! ওই দু’বছর তো বারটেন্ডার হিসেবে আমি নিজেই হাজার ডলারের বেশি করে আয়কর দিয়েছি। ট্রাম্প মানেই দুর্নীতি। নিজের ভাল ছাড়া কিছুই বোঝেন না!’’
টুইটারেই ক্যাথরিন টি নামের এক তরুণী লিখলেন, ‘‘আমার উনিশ বছর বয়স। অভিবাসী হিসেবে দেড় বছর হল আমেরিকায় এসেছি। এখনও ভোটাধিকার পাইনি। অথচ আমি কিন্তু মিস্টার প্রেসিডেন্টের থেকে বেশি আয়কর দিয়েছি।’’ কাল থেকে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে সম্মুখ-বিতর্কে নামছেন ট্রাম্প। তার ঠিক আগে সংবাদমাধ্যমের এই বোমায় স্পষ্টতই চাপে ট্রাম্প শিবির। ট্রাম্প নিজে প্রকাশ না-করলেও ওই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তাদের হাতে ট্রাম্পের ২০ বছরের আইটি-রিটার্ন ফাইল। সেই সংক্রান্ত অন্তর্তদন্তেই উঠে এসেছে এমন কর-ফাঁকির তথ্য।
ট্রাম্প শিবিরের কেউ কেউ বলছেন— প্রেসিডেন্ট তাঁর আয়কর রিটার্ন ফাইল প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য নন। ঠিকই। এমন আইনি বাধ্যবাধকতা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কিন্তু ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের আমল থেকে এমনটাই হয়ে আসছে। প্রথা ভেঙেছেন ৪৫তম— ডোনাল্ড ট্রাম্প।