বাহাত্তর ঘণ্টা কেটে গেলেও মুক্তমনা ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যাকারীদের শণাক্ত করতে পারেনি ঢাকার পুলিশ। তবে ইন্টারনেটে জঙ্গিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা একটি মার্কিন সাইট দাবি করেছে, নাজিম সামাদ হত্যাকাণ্ড আল কায়দার কাজ। আরবি ভাষার একটি ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি সংগঠনটি এই খুনের দায় স্বীকার করেছে। তবে বাংলাদেশ পুলিশের কর্তারা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। তাঁদের দাবি, আল-কায়দা বা আইএস জঙ্গিদের কোনও অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।
তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট লিখতেন নাজিম। তাঁর একটি ব্যক্তিগত ডায়েরিও উদ্ধার হয়েছে। তাতে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, জামাতে ইসলামির বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বার্তা থাকলেও ধর্মকে আঘাত দিয়ে বিতর্কিত কোনও কথা তিনি কখনও লেখেননি। কোথাও ব্লগও লিখতেন না কুমিল্লা থেকে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর বিভাগে পড়তে আসা মাজিম। তাই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা এই ছাত্রকে কেন নিশানা করল— এই প্রশ্নের জবাব পায়নি পুলিশ।
তিন বছর আগে রাজীব হায়দরকে দিয়ে শুরু করে একের পর এক ছয় জন মুক্তমনাকে একই ভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বুধবার নাজিমের খুনে চাপাতির সঙ্গে বন্দুকও ব্যবহৃত হয়েছে, যা নতুন। খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে আরও শ’খানেক মানুষকে, তাঁদের কেউ লেখক, কেউ সাংবাদিক, কেউ বা প্রগতিশীল রাজনীতিক। মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের হুমকি পাওয়া ব্লগারদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি ওবামা সরকার বিবেচনা করছে।