অবশেষে তিনি নাকি হার স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্তত ইরাকি সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনটাই। আলসুমারিয়া টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, ইরাকে আইএসের হার মেনে নিয়ে জঙ্গিদের এখন সে দেশ ছেড়ে পালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন আবু
বকর আল-বাগদাদি। পালাতে না পারলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেদের উড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে তাদের।
আইএস প্রধান বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে এর আগে প্রচুর ভুয়ো খবর রটেছে। বিভিন্ন বিমান হামলায় তাঁর আহত হওয়ার কথাও মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। তাই জেহাদিদের দেওয়া এই বার্তা আদৌ বাগদাদির কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। তবে আলসুমারিয়া চ্যানেলটি দাবি করেছে, ইরাকের নিনেভে শহরের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে সে দেশে আইএসের দফতর বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বাগদাদি। ওই সূত্রই জানাচ্ছে, গত মঙ্গলবার ‘বিদায় বার্তা’ নামে এক বিবৃতি জেহাদিদের মধ্যে বিলি করেছেন আইএস প্রধান। যেখানে আরব নয়, এমন জঙ্গিদের বলা হয়েছে, ‘‘নিজেদের উড়িয়ে দাও, নয়তো ইরাক ছেড়ে পড়শি দেশে আশ্রয় নাও।’’
২০১৪ সালে ইরাকের মসুল দখল করেছিল বাগদাদির আইএস বাহিনী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের হাত থেকে পূর্ব মসুল উদ্ধার করে মার্কিন বাহিনী সমর্থিত ইরাকি সেনা। প্রায় ১০০ দিন লড়াইয়ের পরে। তখন থেকেই ইরাকে কোণঠাসা হতে শুরু করেছিল আইএস। যদিও তার মধ্যে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর
বার্তাও দেয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম ভাগে অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী। তার পর থেকে আইএস আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছিল ইরাকি সরকার।
শুধু ইরাকই নয়। সিরিয়ার ঐতিহাসিক শহর পালমাইরাও আইএস মুক্ত করা গিয়েছে বলে দাবি করেছে সে দেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত এক পর্যবেক্ষক সংস্থা। ওই সংস্থার প্রধান রামি আবদেল রহমান জানিয়েছেন, পালমাইরার অধিকাংশ এলাকা থেকেই এখন চলে গিয়েছে আইএস। কাল রাতে রুশ সেনা সমর্থিত সিরিয়ার বাহিনীর সঙ্গে আইএসের বিপুল সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আইএস চলে গেলেও পালমাইরার মাটিতে এখন অজস্র মাইন পোঁতা। তাই এখনই শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছতে পারছে না সরকারি বাহিনী। রামি জানিয়েছেন, শহরের বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আইএসের আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনীও। ফলে অতি সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হচ্ছে সেনাকে।