চলতে চলতে মাঝ রাস্তায় যদি গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়! গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ছুটতে হবে গ্যারাজে। কিন্তু চাকায় যদি হাওয়াই না থাকে! তা হলে তো পাংচার হওয়ার প্রশ্নও আসত না। ফলে, ঝঞ্ঝাট মুক্ত হয়েই গন্তব্যে পৌঁছনো যেত।
কিন্তু হাওয়া ছাড়া কি রাস্তায় মসৃণ ভাবে চলতে পারবে গাড়ি! এই প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। সেই অসম্ভবই এ বার সম্ভব হতে চলেছে। হাওয়া ছাড়া চাকা আসতে চলেছে বাজারে।
চাকার মধ্যে নির্দিষ্ট চাপে হাওয়া ভরে তা ব্যবহার করা হয় গাড়ির চাকা হিসাবে। মসৃণ ভাবে গাড়ি চলাচলের জন্য চাকায় হাওয়ার চাপ নির্দিষ্ট রাখাটা জরুরি।
কিন্তু জানেন কি এ বার হাওয়া ছাড়াও গড়িয়ে যাবে গাড়ি! এবড়ো-খেবড়ো রাস্তাতেও বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে পারবে। এ রকমই অত্যাধুনিক চাকা আসতে চলেছে বাজারে।
এর নাম ফ্ল্যাট-ফ্রি টায়ার। সম্পূর্ণ হাওয়া ছাড়া হবে এই চাকা। এমন চাকা যা কখনও পাংচার হয় না।
এই প্রথম যে এ রকম হাওয়া ছাড়া চাকা বাজারে আসতে চলেছে তা বললে একটু ভুলই বলা হয়। অনেক সাইকেল, হুইলচেয়ার বা বাড়ি ভাঙার বড় গাড়িতে এমন চাকা লাগানো থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ি বা রাস্তাঘাটে দেখা যাওয়া অন্য গাড়িগুলিতে এমন চাকার প্রচলন হয়নি।
বিদেশের এক চাকা প্রস্তুতকারক সংস্থা এটি বাজারে আনতে চলেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যেই তা বাজারে চলে আসবে।
সংস্থার দাবি, সাধারণ চাকার থেকে এর আয়ুও অনেক বেশি হবে। ফলে ঘন ঘন টায়ার বদলানো বা তার মেরামতির জন্য অতিরিক্ত খরচ বইতে হবে না।
এই চাকা তুলনামূলক বেশি ভার বহনেও সক্ষম। অনেক খারাপ রাস্তাতেও সহজে চলাচল করতে পারে। তবে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে এর।
ঘর্ষণে প্রচুর পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়ে থাকে। সেই তাপ রোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক কম এই চাকায়।
তা ছাড়াও এর আর একটি অসুবিধা হল এই চাকায় চলা গাড়ি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চললে ঝাঁকুনির সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্ত সমস্যা থেকে কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যায় শেষ পর্যায়ে এরই কাজ করছে সংস্থা।